পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
‘পোস্ট বক্স’ সাধারণ মানুষের কাছে কোনও নতুন বিষয় নয়। পোস্ট অফিসেই একটি ডাক বাক্স ভাড়া করে, তাতে চিঠিপত্র রাখার সুযোগ অনেক দিন ধরেই দিয়েছে পোস্ট অফিস। এবার কিছুটা সেই ধাঁচেই লকারের বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগ নিচ্ছে তারা। নতুন উদ্যোগে কীভাবে পরিষেবা পেতে পারেন গ্রাহক? ডাক বিভাগের কলকাতা সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল অমিতাভ সিং বলেন, যে ব্যক্তি তাঁর পার্সেল বা ই-কমার্সের পণ্যটি বাড়ি বা অফিসে নিতে চান না, তা তিনি ওই লকারের মাধ্যমে নিতে পারেন। সেই লকারে পণ্যটি এলে, তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে জানানো হবে। সেই মতো তিনি মোবাইলেই ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি পাবেন। সেই ওটিপি’র মাধ্যমেই তিনি লকারটি খুলতে পারবেন এবং তাঁর পণ্যটি সংগ্রহ করবেন। অমিতাভবাবুর কথায়, ভারতে এই ধরনের পরিষেবা নেই। তা যদি চালু হয়, তাহলে কলকাতাই এই উদ্যোগে প্রথম পদক্ষেপ করবে।
ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেল যে এই পরিষেবাটির উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে, তা জানিয়ে চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, প্রকল্পটিকে কীভাবে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়, আমরা তা নিয়ে চর্চায় আছি। তবে পোস্ট বক্সে যেমন সাধারণ গ্রাহকের নিজস্ব অধিকার ছিল, বক্স ভাড়া নিলে, শুধু তাঁরই চিঠিপত্র ওই বক্সে রাখা হতো, লকারের ক্ষেত্রে কিন্তু তা হবে না। সেটি হবে সবার জন্য। গ্রাহক শুধু নিজের পণ্য বা জিনিসটি সেখান থেকে নিয়ে যেতে পারবেন। পোস্ট অফিসের নির্দিষ্ট অফিস-সময়ের বাইরে ২৪ ঘণ্টাই পরিষেবা পাবেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। ডাক বিভাগের কর্তারা জানাচ্ছেন, ওই লকারের কাঠামো তৈরি করতে তাঁদের যেমন উদ্যোগ নিতে হবে, তেমনই আরও কয়েকটি বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা।
কোনও গ্রাহক যদি লকার থেকে পণ্যের ডেলিভারি না নিয়ে ফেলে রাখেন, তাহলে সেই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছে ডাক বিভাগ। তবে একবার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়ে গেলে, উদ্যোগটি শুধু পোস্ট অফিসে আটকে রাখতে চায় না তারা। প্রয়োজনে মেট্রো স্টেশন বা শপিং মলেও ওই ধরনের লকার রাখা যেতে পারে বলে মনে করছেন কর্তারা।