বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
২০১৮ সালের ১ অক্টোবর ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠক হয়েছিল নবান্ন সভাঘরে। সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন রাজনাথ সিং। সেখানে চার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, সীমান্তবর্তী সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত মাওবাদী সমস্যা সহ নানা ধরনের জঙ্গি ও নাশকতামূলক কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা হবে ভুবনেশ্বরে। তবে পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে মাওবাদী সমস্যা না থাকলেও তারা ঝাড়খণ্ড থেকে মাঝে মধ্যে এসে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। আলোচনায় উঠে আসবে ভিনরাজ্য থেকে এ রাজ্যে এসে গোলমাল পাকানো ও তাতে মদত দেওয়ার প্রসঙ্গ। অন্য রাজ্য থেকে যে উস্কানি দেওয়া চলছে, তা নিয়ে রাজ্য সরকার দীর্ঘদিন ধরেই সরব। সেই সবই বৈঠকে তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও আলোচনা হবে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও ডিভিসি’র ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। এ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিশেষ করে ডিভিসি’র জল ছাড়া নিয়ে বিতর্ক কম নেই। এনিয়ে রাজ্য অতীতেও অভিযোগ তুলেছিল। আলোচনা হবে সীমান্তবর্তী সমস্যা নিয়েও। সেক্ষেত্রে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে নবান্নের। রাজ্যের অভিযোগ, বিএসএফের গাফিলতির জন্যই চোরাচালান চলছে। তা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। আলোচনায় উঠে আসবে আর্থিক বিষয় ও পরিকাঠামো গড়ার প্রসঙ্গ। একইসঙ্গে ভারতমালা প্রকল্প নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সারা দেশে বিভিন্ন রাজ্যকে নিয়ে সাতটি কাউন্সিল তৈরি করা হয়েছে। সেই সব কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নবান্নে ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠকেই ঠিক হয়েছিল, পরবর্তী বৈঠক হবে ভুবনেশ্বরে। এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দিতে নবান্নে জোর প্রস্তুতি চলছে। চলছে ‘কি নোট’ তৈরির কাজ। স্বরাষ্ট্র দপ্তর একটি রিপোর্ট তৈরি করছে, যেখানে রাজ্যের বর্তমান অবস্থা, সীমান্তবর্তী নিরাপত্তা সহ মাওবাদী ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কে উল্লেখ থাকছে। সেইসঙ্গে সীমান্ত চৌকি করার জন্য রাজ্য সরকার যে পরিমাণ জমি দিয়েছে, তারও বিস্তারিত রিপোর্ট বৈঠকে তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে।