বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, এই ঘটনার পিছনে অনেকেই রাজনৈতিক যোগ খুঁজছেন। কেননা, নরেন্দ্র মোদি সরকার আসার পর থেকেই প্রথম তিন বছর এই আর্থিক অনিয়ম হয়েছিল। এই সময়কালে বিজেপির তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত, বর্তমান বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা সহ একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রী ইজেডসিসি’তে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এসেছিলেন। গেরুয়া শিবিরের বরাবরের অভিযোগ, কলকাতায় রাজ্য সরকারের অধীনস্ত কোনও হল কিংবা প্রেক্ষাগৃহ বিজেপিকে দেওয়া হয় না। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইজেডসিসি’তেই তাঁরা সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করতে বাধ্য হয়েছে। এক্ষেত্রে ওই সময়ের কোটি কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে এই রাজনৈতিক প্রেক্ষিতের যোগসূত্র দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও এই বিষয়টি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক।
মন্ত্রকের ওই শীর্ষস্থানীয় আমলার দাবি, আগামীদিনে এ ধরনের আর্থিক গরমিল বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, দিল্লির তরফে দেশের এই ধরনের কেন্দ্রগুলিকে প্রতিবছরই মোট আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। তার সঠিক ব্যবহার সুনিশ্চিত করতে এখন থেকে ওই টাকা দেওয়ার আগেই বিবিধ পর্যায়ে পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হবে। বিগত বছরের হিসেব মেলানোর পর এবং সেই টাকা খরচের শংসাপত্র মেলার পরই পরবর্তী বছরের অনুদান মিলবে। পাবলিক ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে এই কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রকে সাফ বলে দেওয়া হয়েছে, অর্থ মঞ্জুরি এবং প্রাপ্তি সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য-পরিসংখ্যানের রেকর্ড অবশ্যই রাখতে হবে। পর্যাপ্ত ভিজিল্যান্স নজরদারি এবং অভ্যন্তরীণ অডিট ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার বার্তাও দেওয়া হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।