পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
তিন মাসের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে। মহিলা অফিসারদের ব্রাত্য রাখার ক্ষেত্রে শারীরিক সীমাবদ্ধতা বা সামাজিক রীতিনীতির দোহাই দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে এদিন তীব্র ভর্ৎসনা করেছে আদালত। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, কেন্দ্রের দেওয়া এইসব যুক্তি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক, পুরনো ধারণাপ্রসূত ও বিরক্তিকর। মহিলা সদস্যরা অতীতে দেশের জন্য অনেক বীরত্বের সম্মান এনেছেন।
সেনাবাহিনীতে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায় মাইলফলক হয়ে উঠল। আদালতের স্পষ্ট বক্তব্য, সশস্ত্র বাহিনীতে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে সরকারকে মানসিকতায় বদল আনতে হবে। মহিলা অফিসারদের কমান্ড পোস্টিং বা বাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার দানের ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। তবে মহিলাদের কমব্যাট ভূমিকায় মোতায়েন করাটা নীতিগত বিষয়। ঠিক যেমনটা রায় দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে।
এদিনের রায়ে কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালতের বক্তব্য, ২০১০ সালে মহিলা অফিসারদের স্থায়ীভাবে নিয়োগের অনুমতি দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। সেই রায়ে কোনও স্থগিতাদেশ না থাকা সত্ত্বেও এক দশক ধরে নির্দেশ পালনে গড়িমসি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, সশস্ত্র বাহিনীতে পুরুষ সদস্যদের সমান সুযোগ সুবিধা মহিলাদেরও দিতে হবে। ঔপনিবেশিক যুগ অবসানের ৭০ বছর পরও ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মহিলা অফিসারদের সমান সুবিধা দানের ক্ষেত্রে যে প্রাচীনপন্থী মানসিকতা রয়েছে, তাতে বদল আনা প্রয়োজন। শারীরিক সীমাবদ্ধতার যে যুক্তি কেন্দ্র দেখিয়েছে, তা ভিত্তিহীন। মহিলাদের সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখার কোনও সাংবিধানিক ভিত্তি নেই।
সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার পর এদিন আদালতের বাইরে জয়ের উচ্ছ্বাসে ভেসে যান মহিলা অফিসাররা। সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এক মহিলা অফিসার বলেন, শুধুমাত্র সশস্ত্র বাহিনীতে নয়, এই রায় গোটা দেশের মহিলাদের ক্ষমতায়নে সহায়ক হবে। যোগ্যতা থাকলে বাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ মহিলাদের দেওয়া উচিত। মহিলা অফিসারদের হয়ে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন আইনজীবী মীনাক্ষি লেখি। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় মহিলা অফিসারদের জন্য পুরুষ সহকর্মীদের সমান অধিকার এনে দিল। সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার পর কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। মহিলা অফিসারদের কমান্ড পোস্ট ও স্থায়ীভাবে নিয়োগের বিরুদ্ধে সরকার যেভাবে সওয়াল করেছিল, তার সমালোচনা করেন সোনিয়া-পুত্র। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি সরকার মহিলাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।