বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গতকালই তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন কেজরিওয়াল। আর শপথের পরে গতকাল রাতেই কেজরিওয়ালের প্রশংসা করে ট্যুইট করেন মুম্বইয়ের কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা। কেজরিওয়াল সরকার গত পাঁচ বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বলে প্রশংসা করাই নয়, বিষয়টি শিক্ষণীয় বলেও মন্তব্য করেছেন মিলিন্দ দেওরা। এ ব্যাপারে দিল্লি বিধানসভায় কেজরিওয়ালের একটি বক্তৃতাও ট্যুইট করেছেন তিনি।
দেওরা দলে রাহুল ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। তবুও ওই ট্যুইট দেখেই জবাব দেন অজয় মাকেন। বলেন, যদি দল ছাড়তে হয়, এখনই ছেড়ে দাও। কিন্তু অর্ধ সত্য বলো না। শীলা দীক্ষিত আর কেজরিওয়াল, উভয়ের শাসনকালে কত রাজস্ব আদায় হয়েছে, কত বেড়েছে, তার একটি তালিকাও তুলে ধরেন মাকেন। শীলা দীক্ষিতকে অপমান করা হয়েছে বলেও পরোক্ষে বোঝাতে চান অজয় মাকেন। ফলে কংগ্রেসের দুই নেতার মধ্যে শুরু হয়ে যায় ট্যুইটার যুদ্ধ।
মাকেনের মন্তব্যে ফের মুখ খোলেন মিলিন্দ। তিনি ফের ট্যুইট করে লেখেন, আমি শীলা দীক্ষিতকে কোনওভাবেই ছোট করিনি। ওটা আপনার বিশেষত্ব। একইসঙ্গে মাকেনকে উদ্দেশ করে তিনি এও বলেন, আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোটের কথা না বলে, যদি শীলা দীক্ষিতের কাজ ঠিকমতো প্রচারে আনা হতো, তাহলে দিল্লিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসত।
আজ এক প্রশ্নের উত্তরে এআইসিসির মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা স্পষ্ট ভাষায় বলেন, দিল্লিতে আমরা হেরে গেলেও কংগ্রেস পার্টি মুছে যায়নি। তিনি বলেন, দিল্লিতে স্বাভাবিক নিয়মেই রাজস্ব বাড়ছে। এতে কেজরিওয়ালের কোনও কৃতিত্ব নেই। তাই দিল্লি নিয়ে মন্তব্য করার আগে অন্য রাজ্যের ওই কংগ্রেস নেতাকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, আগে নিজের রাজ্য মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের কী অবস্থা, সেদিকটা দেখুন। সুরজেওয়ালা বলেন, দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বা সংগঠন শক্তিশালী করতে আপনি কী করেছেন, আগে সেটা আত্মসমীক্ষা করুন। তারপর অন্য রাজ্য প্রসঙ্গে বলবেন।