কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
যদিও আশঙ্কার মেঘ থেকেই যাচ্ছে। ৩ মার্চই চূড়ান্ত দিন কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কোনও আইনজীবী। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত পবন গুপ্তার হাতে এখনও আইনি অস্ত্র আছে। আবার সমস্ত আইনি প্রক্রিয়ার পরে ফাঁসির জন্য ১৪ দিন সময় দিতে হয়। সেই হিসেবে আগামী দু’দিনের মধ্যে পবন গুপ্তাকে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়। কিন্তু পবন আদৌও দু’দিনের মধ্যে আবেদন করবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে। এদিন আদালতে ফাঁসি রুখতে সবরকম চেষ্টা করেন চার অপরাধীর আইনজীবীরা। বিনয় শর্মার আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলকে জেলের ভিতর মারধর করা হয়েছে। মাথায় চোট লেগেছে। মানসিকভাবে অসুস্থ বিনয় অনশন করছে। এই অবস্থায় ফাঁসি হতে পারে না। আদালত তিহার জেলের এসপিকে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আবার পবন গুপ্তার আইনজীবী জানান, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ এবং রাষ্ট্রপতির কাছে মার্সি পিটিশন দাখিল করবেন। এর পাল্টা সরকারি আইনজীবী যুক্তি দিয়ে বলেন, দিল্লি হাইকোর্ট যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সাতদিন সময়সীমা দিয়েছিল। সেই সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে পবন গুপ্তা কোনও আইনি প্রক্রিয়ায় যায়নি। তাই ফাঁসি কার্যকর করতে আর অসুবিধা থাকছে না।
২০১২ সালে প্যারামেডিক্যালের ছাত্রীকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ এবং নির্মম অত্যাচারের পর খুনের দায়ে ফাঁসির সাজা হয়েছে মুকেশ সিং, বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর এবং পবন গুপ্তার। দু’বার দিল্লির পাতিয়ালা আদালত ফাঁসির পরোয়ানা জারি করেছিল। কিন্তু দীর্ঘ আইনি জটিলতায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি। প্রথমে ২২ জানুয়ারি ফাঁসি হবে বলে ঠিক হয়। পরে দিন পাল্টে ১ ফেব্রুয়ারি হলেও সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। ৩১ জানুয়ারি পাতিয়ালা হাউস কোর্ট জানিয়ে দেয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফাঁসি কার্যকর করা হবে না। দিল্লি হাইকোর্টে নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারির আর্জি জানায় কেন্দ্র এবং দিল্লি সরকার। ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, সাতদিনের মধ্যে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। এই সাতদিনে নতুন কোনও মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা যাবে না। যদিও সেই সময়সীমার মধ্যেই নিম্ন আদালতে মৃত্যু পরোয়ানা জারির আবেদন করে কেন্দ্রীয় সরকার। আবেদন খারিজ হয়ে যায়। গত সপ্তাহে হাইকোর্টের দেওয়া সময়সীমা শেষ হয়।