কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
১৫ ডিসেম্বর থেকে শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষোভের কারণে কালিন্দী কুঞ্জ-শাহিনবাগ সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দিল্লি, নয়ডা ও ফরিদাবাদে যাতায়াত করতে নিত্য যাত্রীদের ব্যাপক যানজটের মুখে পড়তে হচ্ছে। তাই, দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন আইনজীবী অমিত সাইনি। তাঁর আবেদন ছিল, সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচল যাতে স্বাভাবিক হয়, তার জন্য আদালত যেন দিল্লি পুলিসকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়। সোমবার সেই সংক্রান্ত মামলারই শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। আইনজীবী অমিত সাইনি আদালতকে জানান, ভীমসেনার প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ হুমকি দিয়েছেন, ‘ভবিষ্যতে আরও পাঁচ হাজার শাহিনবাগ হবে।’ যার জবাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, পাঁচ হাজার প্রতিবাদ নিয়ে তাঁদের কোনও সমস্যা নেই। তাঁরা শুধু চান, সেই প্রতিবাদ যেন রাস্তা আটকে, অন্যের অসুবিধা করে না হয়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সমাজের একটা অংশ বিক্ষুব্ধ হতেই পারে। কিন্তু, তাতে প্রতিবাদের একটা রীতি অবশ্যই থাকা উচিত। যান চলাচল আটকে দিয়ে প্রতিবাদের রীতি কখনই সমর্থন করা যায় না। বিক্ষোভের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটা ভারসাম্য বজায় থাকা উচিত।
প্রসঙ্গত, আইনজীবী অমিত সাইনির আবেদনের মামলায় হস্তক্ষেপ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চন্দ্রশেখর আজাদ। ডিভিশন বেঞ্চ চন্দ্রশেখর আজাদ সহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবাদের বিকল্প স্থান নির্বাচনের জন্য পরামর্শ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক নন্দকিশোর গর্গও শাহিনবাগ থেকে বিক্ষোভকারীদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার দাবিতে জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন। এদিন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানান, শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের প্রতি এমন বার্তা দেওয়া উচিত নয়, যাতে প্রতিবাদের মুখে প্রশাসনকে নতজানু হতে হবে। সবদিক বিবেচনা করেই সুপ্রিম কোর্ট বিক্ষোভস্থল অনত্র সরানো নিয়ে আলোচনার জন্য মধ্যস্থাকারীদের দায়িত্ব দিয়েছে বলে মত বিশিষ্ট আনিজীবীদের।