বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, আচমকা লাইব্রেরিতে ঢুকে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের বেধড়ক লাঠিপেটা করছে পুলিস এবং প্যারামিলিটারির পোশাক পরিহিত সাত-আটজন। বই তুলে দেখিয়েও রেহাই মেলেনি। পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধর করেছে মাথায় হেলমেট, মুখে রুমাল বাঁধা পুলিস। জানা গিয়েছে, বর্তমান এবং প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে তৈরি জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটির পক্ষ থেকেই ওই ভিডিওটি সামনে আনা হয়েছে। চমকে ওঠার মতো ওই ভিডিওটি দিল্লি পুলিস খতিয়ে দেখছে বলে খবর। উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকে নিরস্ত্র ছাত্রছাত্রীদের উপর পুলিস অত্যাচার এবং লাইব্রেরি তছনছ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। কাঁদানে গ্যাস এবং গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে। ঘটনার প্রতিবাদে জামিয়ার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরবর্তীতে তা কিছুটা থিতিয়ে গেলেও আজ ৪৮ সেকেন্ডের ভিডিওটি সামনে আসায় ফের নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। জামিয়া ইস্যুতে মোদি সরকারকে সমালোচনার কাঠগড়ায় বসিয়েছে রাজনৈতিক মহল। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, অমিত শাহ এবং দিল্লি পুলিস বলেছিল লাইব্রেরির মধ্যে কোনও পুলিস যায়নি। তাহলে এই ভিডিওটা কী? মোদি সরকারকে চাপে ফেলতে প্রিয়াঙ্কার তোপ, এরপরেও যদি জামিয়ায় ঘটে যাওয়া হিংসার ঘটনায় সরকার কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে দেশের কাছে মোদি সরকারের উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে যাবে। দিল্লি পুলিসের আচরণকে ব্রিটিশ পুলিসের সঙ্গে তুলনা করে সরকারের তুলোধনা করেছেন কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। বলেছেন, কোনওভাবেই এই অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। ব্রিটিশ আমলে যেভাবে ভারতীয়দের উপর পুলিস অত্যাচার করত, একইভাবে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশেই পড়ুয়াদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি করেছেন অধীরবাবু।
সীতারাম ইয়েচুরি এবং আমানাতুল্লা খানও ভিডিওটি আপলোড করেছেন। এ ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না, বলে মন্তব্য করেন ইয়েচুরি। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গে অমিত শাহ যা বলেছিলেন, তা সবই মিথ্যে। এই ধরনের অত্যাচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইয়েচুরি আরও বলেছেন, দিল্লি পুলিস সরাসরি অমিত শাহর অধীনে। লাইব্রেরিতে পাঠরত পড়ুয়াদের উপর যে অত্যাচার করা হয়েছে, তা লজ্জাজনক।