জম্মু, ১৬ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): আগামী ৫ মার্চ জম্মু ও কাশ্মীরে পঞ্চায়েতের ১১ হাজারের বেশি আসনে নির্বাচন। রাজ্যভাগ ও দীর্ঘ অচলাবস্থার পর এই প্রথম জম্মু ও কাশ্মীরে কোনও ভোট হচ্ছে। এই ভোটে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)। কিন্তু উপত্যকায় রাজনৈতিক দলগুলির নেতানেত্রীদের উপর যে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে, তাতে স্বাধীনভাবে প্রচার করাই সম্ভব নয়। ভোটে লড়তে ওই বিধিনিষেধের অবসান চেয়ে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল ফারুক আবদুল্লার দল। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শৈলেন্দ্র কুমারকে চিঠি লিখে সমস্যার কথা জানিয়েছেন এনসির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রতনলাল গুপ্তা। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তাঁর দল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী। ১১ হাজারেরও বেশি আসনে আগামী ৫ মার্চ থেকে শুরু হতে চলা আট দফার নির্বাচনে অংশ নিতেও আগ্রহী তাঁরা। কিন্তু দলের সভাপতি ফারুক আবদুল্লা, সহ সভাপতি ওমর আবদুল্লার মতো শীর্ষ নেতাদের কঠোর জনসুরক্ষা আইনে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনসির পক্ষে নির্বাচনে লড়া কার্যত অসম্ভব। প্রার্থী বাছাই, প্রচারও করা সম্ভব নয়। এই সমস্যাগুলির সমাধানে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পরামর্শও চেয়েছেন রতনলাল গুপ্তা। চিঠির একটি কপি দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকেও পাঠানো হয়েছে। তবে নির্বাচনের আর ২০ দিনও বাকি নেই। তার মধ্যে ফারুক-ওমরদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
অন্যদিকে, উপত্যকায় ইন্টারনেটের উপর নিষেধাজ্ঞা এখনই পুরোপুরি উঠছে না। সম্প্রতি কিছু কিছু জায়গায় টুজি মোবাইল ডেটা এবং ফিক্সড লাইন ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। রবিবার এই পরিষেবার মেয়াদ ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানাল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। যদিও, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, ১ হাজার ৪৮৫টি সাদা তালিকাভুক্ত ওয়েবসাইট একমাত্র খোলা যাবে। কোনও পিয়ার টু পিয়ার কানেকশন অথবা ভিপিএনের সুবিধাযুক্ত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না।