বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গুজরাতের ভুজে অবস্থিত শ্রী সহজানন্দ গার্লস ইনস্টিটিউট (এসএসজিআই) নামে ওই কলেজটি পরিচালনা করেন স্বামী নারায়ণ মন্দিরের অনুগামীরা। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে পড়তে আসা ৬৮ জন ছাত্রী কলেজের হস্টেলে থাকেন। অভিযোগ, গত সপ্তাহে ওই ৬৮ জন ছাত্রীকে বাথরুমে নিয়ে যায় কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং অন্তর্বাস খুলিয়ে তাঁদের ঋতুচক্র চলছে কি না তা দেখা হয়। সূত্রের খবর, কলেজ চত্বরে একটি ব্যবহার করা স্যানিটারি প্যাড পাওয়া যেতেই এই পরীক্ষা চালায় হস্টেল কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে কলেজের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ চেয়ে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা।
হস্টেলের নিয়ম অনুযায়ী ঋতুচক্র চলাকালীন ছাত্রীরা রান্নাঘর এবং মন্দিরের কাছাকাছি যেতে পারেন না। বেসমেন্টের একটি ঘরে তাঁদের আলাদা করে রাখা হয়। ভর্তির সময় ছাত্রীদের এই নিয়মাবলি জানিয়ে দেওয়া হয় বলেও জানিয়েছেন কলেজের ট্রাস্টি প্রবীণ পিন্ডোরিয়া। তাঁর কথায়, ‘আমি প্রশাসনিক কমিটির বৈঠক ডেকেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে কমিটি।’ এ বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সম্মান করি। কিন্তু, ওঁরা যা করছেন, তা ঠিক নয়। ওঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে সংবাদমাধ্যমকে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ওই ছাত্রী আরও বলেন, ‘বিষয়টি জানাজানি হতেই কলেজের প্রিন্সিপাল ও অন্যান্যরা আমাদের ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করেন। সবকিছু ঠিক চলছে জানিয়ে আমাদের লিখিত বিবৃতি দিতে বলেন তাঁরা। শুধু ক্ষমা চাওয়া নয়, আমরা আইনি ব্যবস্থা চাই।’ অন্তর্বাস খুলিয়ে পরীক্ষা করার কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন কলেজের ডিন দর্শন ঢোলাকিয়া। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি হস্টেলের সঙ্গে সম্পর্কিত। এবং এর সঙ্গে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও যোগ নেই। সমস্তটাই ছাত্রীদের অনুমতি নিয়ে হয়েছে। কাউকেই জোর করা হয়নি। এমনকী, কেউ তাঁদের ছোঁয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।’