গোরক্ষপুর, ১৫ ফেব্রুয়ারি: রক্ষকই ভক্ষক! যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধেই তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে গোরক্ষপুর জেলার গোরক্ষনাথ এলাকায়। তরুণীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দিদির বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেখানে কিছু সমস্যা হওয়ায় বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। বাড়ি ফেরার পথে দুই পুলিসকর্মী তাঁর রাস্তা আটকান। এবং তিনি পতিতাবৃত্তির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ করা হয়। এরপর তাঁকে জোর করে বাইকে বসিয়ে রেলস্টেশনের কাছে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন পুলিসকর্মীরা। বাড়ি ফিরতে চাইলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় অভিযোগ। নিগৃহীতা জানিয়েছেন, রাত একটা নাগাদ হাতে ৬০০ টাকা দিয়ে তাঁকে বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। এরপর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের গোটা বিষয়টি জানান ওই তরুণী। শরীরে বেশ কিছু আঘাত থাকায় নিগৃহীতাকে হাসপাতালের ভর্তি করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যারা। অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত পুলিস আধিকারিকদের নাম উল্লেখ থাকায়, পুলিস মহলে তুমুল চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল বিতর্ক দানা বেধেঁছে।
কোতোয়ালির সার্কেল অফিসার ভিপি সিং হাসপাতালে গিয়ে নিগৃহীতার বয়ান রেকর্ড করেছেন। পুলিস জানিয়েছে, ওই মহিলার বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। তবে, সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র পুলিস সুপার সুনীলকুমার গুপ্তা। তিনি বলেন, কোতোয়ালির সার্কেল অফিসারকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযোগকারিনীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হবে। সবদিক খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে, যোগী রাজ্যে ফের গণধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযুক্ত পুলিস আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি উঠেছে।