পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, প্যান কার্ড পাওয়ার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বদলে যাচ্ছে। আগামী আর্থিক বছরেই প্যান কার্ড পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। এদিকে একের পর এক সরকারি ঘোষণা অথবা বাজেট ঘোষণাতেও অর্থনীতির হাল হকিকৎ নিয়ে সরকার যথেষ্ট সংশয়ে। দিল্লি ভোটের ফলাফলে আতঙ্কিত মোদি সরকার এবার সামাজিক সুরক্ষায় বিপুল অর্থবরাদ্দের পথে হাঁটতে চলেছে। তাই সরাসরি পাঁচটি মন্ত্রককে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষি, নারী ও শিশুকল্যাণ, শ্রম,গ্রামোন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায় মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এই পাঁচটি মন্ত্রককে বলেছে, একটি সামগ্রিক সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প তৈরি করতে। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং দারিদ্র কমানোর লক্ষ্যে এই কমিটি কাজ করবে। ওই পাচটি মন্ত্রককে বিশেষ করে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ বছরে সেইসব প্রকল্পই গ্রহণ করতে, যেখানে কমসংস্থানের সুযোগ আছে। আর শুধু কমিটির সদস্য হয়ে থাকলেই চলবে না। প্রত্যেক ১০০ দিনে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে রিপোর্ট করতে হবে কোন মন্ত্রক কী কী প্রকল্প গ্রহণ করেছে এবং বাজেটে ঘোষিত প্রকল্পে কত কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি দারিদ্র দূরীকরণের জন্য বিশেক সামাজিক সুরক্ষার প্রকল্প রচনা করা হচ্ছে। এই পাঁচ মন্ত্রকের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করবে নীতি আয়োগ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাইছেন সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা (ইউনিভার্সাল সোস্যাল সিকিউরিটি) নির্মাণ করতে। এই মুহূর্তে মোদি সরকারের রয়েছে একগুচ্ছ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষা বিমা যোজনা, অটল পেনশন যোজনা। পাশাপাশি গত বছর থেকে চালু হয়েছে কৃষকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি ও শ্রমিকদের জন্য মান্ধান যোজনা। গরিব ষাটোর্ধদের জন্য বছরে ৩ হাজার টাকা করে সহায়তার এই প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও। এই প্রকল্পগুলিকেই আরও সংঘবদ্ধ করে প্রধানমন্ত্রী ইউনিভার্সাল সোস্যাল সিকিউরিটি প্রোগ্রাম করার দিকে এগোচ্ছে মোদি সরকার। বিশেষ করে দিল্লিতে বিনামূল্যে জল, বিদ্যুৎ, পরিবহণ, স্কুল ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে অরবিন্দ কেজরিওয়াল যেভাবে বিপুলভাবে জনাদেশ পেয়েছেন, এবার সরাসরি সেই পথ অনুসরণ করার আভাস দিচ্ছে মোদি সরকার। সামাজিক সুরক্ষার বলয় অনেকটাই বাড়ানো হবে। ইতিমধ্যেই গত বছর নীতি আয়োগকে ভিশন ডকুমেন্ট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০৩৫ সালের ভারত কেমনহবে সেই লক্ষ্য সামনে রেখে তৈরি হচ্ছে ওই ভিশন ডকুমেন্ট। এবার সামাজিক সুরক্ষাকে বিশেষ অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে ওই ডকুমেন্টে।