গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জন-নিরাপত্তা আইন মোতাবেক আবদুল্লাকে আটক রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। সেই সিদ্ধান্তের বৈধতাকে চ্যালেঞ্চ করে সোমবার সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছিলেন সারা। তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ অনৈতিকভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। অবিলম্বে আটক রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে সারার অভিযোগ, এই ধরনের সিদ্ধান্ত আসলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীর কণ্ঠরোধ করার লাগামহীন প্রচেষ্টা। এবং তা সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী। এদিন সারার হয়ে আদালতে সওয়াল করেন সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি মামলাটির গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে দ্রুত শুনানির আর্জি রাখেন। বেঞ্চ অবশ্য তাঁর আর্জি খারিজ করে দিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে আগামী ২ মার্চ। তার আগে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনকে নোটিসের জবাব দিতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। আবদুল্লাকে আটক রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা কতখানি, তা খতিয়ে দেখতেই এই নোটিস বলে আইনি বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
এদিন সওয়ালের সময়েও কী কারণে আবদুল্লাকে আটক করা হয়েছে, তা সিবালের কাছে জানতে চেয়েছিলেন দুই বিচারপতি। জবাবে সিবাল রাজ্য পুলিস-প্রশাসনের দেওয়া ‘ডসিয়ার’-এর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। সম্প্রতি ওই ‘ডসিয়ার’ আবদুল্লার হাতে তুলে দিয়েছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের শীর্ষ পুলিস আধিকারিক। ‘ডসিয়ার’এ আবদুল্লাকে আটক রাখার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন সিবাল। এর পরেই আদালত জানতে চায়, এই সংক্রান্ত মামলা জম্মু ও কাশ্মীরের হাইকোর্টে কারও তরফে হয়েছে কি না? উত্তরে সিবাল জানিয়েছেন, তাঁদের তরফে এই সংক্রান্ত কোনও মামলা হাইকোর্টে দায়ের করা হয়নি। তার পরেই রাজ্য প্রশাসনকে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বেঞ্চ।