কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দিল্লি ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে এই তিনটি দলই যথেষ্ট শঙ্কায় ফেলেছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে। কারণ, দিল্লি ভোটে যেভাবে উগ্র জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় বিভাজনের প্রচার করা হয়েছিল এবং সেই প্রচারকে দিল্লিবাসী প্রত্যাখ্যান করে বিপুলভাবে আম আদমি পার্টিকে জয়ী করেছে, তারপরই উষ্মা প্রকাশ করতে শুরু করেছে এই তিন প্রধান শরিক দল। তিন দলই পৃথকভাবে জানিয়েছে, তারা এভাবে বিজেপির হাইভোল্টেজ প্রচার সমর্থন করে না। এমন অবস্থায় এই তিনটি দল স্থির করেছে এনডিএর শরিক হিসেবে শুধু বিজেপিই বৈঠক ডাকবে এমন নয়, বিজেপিকে ছাড়া পৃথকভাবেও বৈঠক ডাকা হবে। শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে এই তিন দলের নেতৃত্ব। বস্তুত রামবিলাস পাসোয়ান এবং নীতীশ কুমারের উদ্বেগ সবথেকে বেশি। কারণ, বিহারের ভোট আসন্ন। যেভাবে বিজেপি রাজ্যে রাজ্যে হারছে, তারপরও তারা যদি প্রচারের ফরম্যাট ও অভিমুখ পরিবর্তন না করে, তাহলে সেই প্রভাব পড়বে বিহার ভোটেও। আর বিজেপি বিরোধী মনোভাবের জেরে শরিক হিসেবে তাদের ভোটব্যাঙ্কও ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছেন পাসোয়ান ও নীতীশ কুমার। তাই সতর্কতা হিসেবে জোট শরিকরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে আগামীদিনে বিজেপির সঙ্গে সম্মিলিত বৈঠকেই জানিয়ে দেবে উন্নয়নের ইস্যুতেই আবদ্ধ রাখা হোক প্রচারের কৌশল। অযথা আর বিতর্কিত উচ্চগ্রামের জাতীয়তাবাদী ইস্যু তুলে ধর্মীয় বিভাজনের রাস্তায় না হাঁটাই শ্রেয়। শরিকরা পৃথক বৈঠকের সম্ভাবনা জানিয়ে বস্তুত বিজেপির উপরই নতুন করে চাপ বাড়ালো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।