কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আজ রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান বি কে যাদব বলেছেন, ‘রেলের মূলধনী খরচের পরিমাণ আগের তুলনায় প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য বরাদ্দের পরিমাণও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু শুধু রেল কেন, কোনও সংস্থার কোষাগারেই অপর্যাপ্ত অর্থ থাকার কথা নয়। রেলওয়ে প্রকল্পের রূপায়ণ খুব পরিকল্পনামাফিক করা প্রয়োজন। আর তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেইসব প্রকল্পেই পুরো অর্থ বরাদ্দ করা হবে, যেগুলিতে প্রজেক্ট শুরুর আগের সমস্ত কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ ডিপিআর তৈরি হয়েছে, জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়েছে, সমীক্ষা রিপোর্ট এসে গিয়েছে। পুরো অর্থ বরাদ্দের পরবর্তী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এই প্রকল্পগুলির কাজ সম্পূর্ণ করে দেওয়া হবে। কিন্তু যেগুলি প্রাথমিক স্তরে থাকবে, সেইসব ক্ষেত্রে রেল নগণ্য অর্থ বরাদ্দ করবে। বছরের পর বছর ধরে যাতে রেলের প্রকল্পগুলি পড়ে থাকতে না পারে, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ রেলবোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০২০-২১ সালের বাজেটে সবক’টি জোনের এরকম ১১ শতাংশ প্রকল্পে নামমাত্র বরাদ্দ করা হয়েছে। বাকি ৮৯ শতাংশ ক্ষেত্রে গড়ে বরাদ্দ হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা করে।
এদিন রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, প্রকল্পের গুরুত্বের উপর নির্ভর করে ইতিপূর্বে সারা দেশের যে ৫৮টি রেলওয়ে প্রজেক্টকে ‘সুপার ক্রিটিক্যাল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তার মধ্যে সাতটির কাজ শেষ হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষেই। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসেই শেষ হয়েছে হলদিবাড়ি-বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত নতুন লাইন তৈরির কাজ। বাকি থাকা ৫১টি সুপার ক্রিটিক্যাল প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে শেষ করে দেওয়া হবে। এবারের পিঙ্ক বুকে থেকে স্পষ্ট হয়েছে, শুধুমাত্র পূর্ব রেলেরই প্রায় ২০টি নতুন রেললাইন তৈরির প্রকল্পে এক হাজার টাকা করে বরাদ্দ করেছে মন্ত্রক। এ প্রসঙ্গে আজ রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘এটি নির্দিষ্ট করে বাংলার কোনও বিষয় নয়। এমনিতেই আমরা নতুন লাইন তৈরির পরিবর্তে ডাবলিং, ট্রিপলিং, মাল্টি ট্র্যাকিং এবং গজ কনর্ভাশনের উপর জোর দিচ্ছি বেশি।
তাছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় জমির অন্তত ৯০ শতাংশ অধিগ্রহণ না হলে সেই প্রজেক্টে রেল হাতই দেবে না। সারা দেশের ১৮৮টি নতুন লাইন প্রকল্প এই কারণে ‘ফ্রোজেন’ হয়ে রয়েছে।’ রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, মাল্টি ট্র্যাকিংয়ের উপর জোর দিয়ে ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে বকেয়া যাবতীয় গজ কনভার্শনের প্রকল্প শেষ করা হবে। অন্যদিকে, ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে শেষ হবে
ডাবলিংয়ের কাজ।