নয়াদিল্লি, ২৯ জানুয়ারি (পিটিআই): মৃত্যুদণ্ড এড়ানোর সমস্ত সুযোগ শেষ। তাই, নির্ধারিত দিনে নির্ভয়া কাণ্ডের অন্যতম অপরাধী মুকেশকে ফাঁসি দিতে আর কোনও বাধা রইল না। ১৭ জানুয়ারি তার প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি আর ভানুমতির নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে আবেদন করেন মুকেশের আইনজীবী। বুধবার, সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট ও নিম্ন আদালতের নির্দেশ, মামলা সংক্রান্ত সমস্ত নথি, দোষীর অপরাধের পূর্ববর্তী রেকর্ড সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত তথ্য রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সব কিছু খতিয়ে দেখেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২৫ পাতার রায়ে আদালত আরও জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি দ্রুত প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দিয়েছিলেন। তার মানে এই নয় যে, তিনি আগে থেকেই সব ঠিক করে রেখেছিলেন। পাশাপাশি, মামলার সমস্ত নথি রাষ্ট্রপতিকে পাঠানো হয়নি বলে মুকেশের আইনজীবী যে অভিযোগ করেছিলেন, তাও খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতির বেঞ্চ। অন্যদিকে, বুধবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানিয়েছে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় শর্মা।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ছ’টার সময় নির্ভয়া কাণ্ডের চার দোষী মুকেশ, পবন গুপ্তা, বিনয়কুমার শর্মা ও অক্ষয় কুমারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা। তার আগে হাতে রয়েছে মাত্র কয়েকদিন। এই পরিস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড পিছিয়ে দিতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। মুকেশ ও বিনয়ের কিউরেটিভ পিটিশনের আর্জি ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর এক অপরাধী অক্ষয়কুমার সিং বুধবারই শীর্ষ আদালতে এই পিটিশন দাখিল করেছে। তবে, পবন এখনও কিউরেটিভ পিটিশন জমা দেয়নি। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ফাঁসি পিছিয়ে দিতে ছক কষেই তারা আলাদা আলাদা করে হলফনামা দাখিল করছে। বৃহস্পতিবার অক্ষয়ের আবেদনের শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। কিউরেটিভ পিটিশনে তার আইনজীবী জানিয়েছেন, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রবল জনরোষ এবং জনমতের চাপে পড়ে এই মামলায় ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত।