কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফেসবুকের তরফে একটি ইমেল পান কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দারা। সেই মেলে জানানো হয়, এক মহিলা তাঁর প্রোফাইল থেকে লাইভ করে বলছেন আত্মহত্যা করছেন। এই মেল পাওয়ার পরই সক্রিয় হয়ে ওঠেন গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা। মহিলার প্রোফাইলের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখেন, তিনি কলকাতার বাসিন্দা নন, গুয়াহাটির বাসিন্দা। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে দেখা যায়, মহিলা গুয়াহাটিতেই রয়েছেন। লোকেশন নির্দিষ্ট করার পর কলকাতা পুলিসের তরফে যোগাযোগ করা হয় গুয়াহাটি পুলিসের সঙ্গে। গুয়াহাটির অফিসাররা খোঁজখবর করে জানতে পারেন, ওই মহিলা চ্যাংসারি থানার একটি অভিজাত কমপ্লেক্সের বাসিন্দা। সময় নষ্ট না করে ওই আবাসনে পৌঁছে যান গুয়াহাটি কমিশনারেটের অফিসাররা। আত্মহত্যা করার মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে পুলিস। ফাঁস খুলে নামানো হয় তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর মিনিট খানেক দেরি হলে ওই মহিলাকে প্রাণে বাঁচানো যেত না বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এভাবে এক মহিলাকে প্রাণে বাঁচাতে পারে রীতিমতো খুশি কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা আধিকারিকরা। তবে তাঁদের বক্তব্য, ঘটনা দেখার পরই তড়িঘড়ি তাঁরা গুয়াহাটি কমিশনারেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে কিছুটা সময় নিয়ে ফেলেন কমিশনারেটের কন্ট্রোল রুমে থাকা অফিসাররা। তাঁদের খবর পাঠাতে একটু দেরি হয় স্থানীয় থানায়। যে কারণেই মহিলা একটু সঙ্কটজনক হয়ে পড়েছেন। সময়ের ব্যবধান আরও কমানো গেলে এতটা বিপদ থাকত না। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মহিলার স্বামীকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়েই তিনি হাসপাতালে চলে আসেন।
কিন্তু কেন আত্মহত্যা করছিলেন ওই মহিলা? প্রাথমিক তদন্তে পুলিস জেনেছে, ওই মহিলার সঙ্গে স্বামীর গোলমাল চলছিল বেশকিছু দিন ধরেই। যা নিয়ে তিনি মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন। সেখান থেকেই তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। আর ঘটনা যাতে সকলে দেখতে পায় সেজন্যই ফেসবুকে লাইভ করার সিদ্ধান্ত নেন।