বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সিএএ এবং এনপিআরকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেডিইউ সভাপতি নীতীশ কুমার। যা নিয়ে প্রশান্ত কিশোর ও পবন ভার্মা প্রকাশ্যেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে যাচ্ছিলেন। এদিন জেডিইউয়ের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি ত্যাগী। সেখানে বলা হয়, দলের সিদ্ধান্ত ও কাজকর্মের বিরুদ্ধাচরণ করছিলেন ওই দুই নেতা। যা দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে ‘অপমানজনক মন্তব্য’ করার অভিযোগও আনা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, গতকালই চড়া সুরে প্রশান্ত কিশোরের সমালোচনা করেছিলেন নীতীশ। জেডিইউ প্রধানের বক্তব্য ছিল, প্রশান্ত দল ছেড়ে যেতে চাইলে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। পাশাপাশি নীতীশের দাবি ছিল, প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের কথায় তিনি প্রশান্ত কিশোরকে দলে নিয়েছিলেন। যদিও এরপরই নীতীশকে চাঁচাখোলা ভাষায় আক্রমণ করেন কিশোর। তাঁর অভিযোগ ছিল, নীতীশ মিথ্যা বলছেন। তীব্র সংঘাত ও প্রকাশ্যে এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির মধ্যেই এদিন জেডিইউ ঘোষণা করে দিল, প্রশান্ত কিশোর ও পবন ভার্মাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হচ্ছে।
প্রশান্ত কিশোরকে যে জেডিএস রাস্তা দেখাতে চলেছে, গতকাল থেকেই সেই ইঙ্গিত আসতে শুরু করেছিল। এদিন সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে কিশোরের বিরুদ্ধে একদফা সুর চড়ান জেডিইউ নেতা অজয় অলোক। নীতীশের দলের এই প্রাক্তন মুখপাত্রের তোপ, প্রশান্ত কিশোর মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নন। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিজি বা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশজি, কারও বিশ্বাসই অর্জন করতে পারেননি। তিনি আপের হয়ে কাজ করেন, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনা করেন ও মমতা দিদির সঙ্গে তাঁর ওঠাবসা। কে তাঁকে বিশ্বাস করবে? এই ‘করোনা ভাইরাস’ যে আমাদের ছেড়ে যাচ্ছেন, তাতে আমরা খুশি। তিনি যেখানে ইচ্ছা যেতে পারেন।