রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ে বিজেপি যে প্রচার চালাচ্ছে, তারও বিরোধিতা করেছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সাংসদের মন্তব্য, আগের মাপকাঠি অনুযায়ী বিচার করলে দেখা যাবে, ভারতের জিডিপি মাত্র ২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘ইউপিএ আমলে ভারতের জিডিপি ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। সমগ্র বিশ্ব সেই সময়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। বর্তমানে জিডিপির মাপকাঠি বদলে ফেলা হয়েছে। তারপরেও জিডিপি বৃদ্ধির হার মাত্র ৫ শতাংশ। কিন্তু আপনারা যদি পুরনো মাপকাঠি অনুযায়ী বিচার করেন— দেখা যাবে, ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার আসলে ২.৫ শতাংশ।’
রাজস্থানের জয়পুরে ‘যুব আক্রোশ র্যা লি’তে যোগ দিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধনা করেন তিনি। বলেন, ‘বিশ্বের দরবারে সৌভ্রাতৃত্ববোধই ছিল ভারতের পরিচয়। সেই সময়ে মানুষ পাকিস্তানের সমালোচনা করতেন। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের সেই ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে দিয়েছেন। এই সময়ে দাঁড়িয়ে ভারতকে বিশ্বের ধর্ষণ রাজধানী হিসেবে ধরা হচ্ছে। অথচ এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি শব্দও খরচ করছেন না। যখন দেশের যুব সমাজ বেকারত্ব সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তখন তাঁদের টার্গেট করে নেওয়া হচ্ছে। গুলি করা হচ্ছে। মোদি সরকার এক বছরের মধ্যে দু’কোটি নতুন চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে গত এক বছরে এক কোটি মানুষ বেকার হয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি, আপনি দেশের যে কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়াদের মুখোমুখি হোন।’ এরপরেই যুব সমাজের প্রতি তাঁর পরামর্শ, কোনও পরিস্থিতিতেই চুপ করে থাকবেন না। বেকারত্ব ও দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলুন। যদিও প্রধানমন্ত্রী কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না বলে কটাক্ষ করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘শুধুই মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেন মোদি।’