রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ওদিকে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে কংগ্রেসের অভিযোগ মূলত উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে হলেও আদতে লক্ষ্য মোদি। তাই লখনউয়ের গোমতীনগরে না গিয়ে দিল্লিতে সিজিও কমপ্লেক্সে মানবাধিকার ভবনে গেলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিলেন দলের এমপি আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি, প্রাক্তন এমপি সলমন খুরশিদ, মহসিনা কিদোয়াই, পি এল পুনিয়া, জিতিন প্রসাদ, প্রণব ঝা, উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অজয়কুমার লাল্লু প্রমুখ।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশে যে আন্দোলন হয়েছে, তা দমন করতে বিজেপি সরকারের পুলিস অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে বলেই কংগ্রেসের অভিযোগ। তাই এই ব্যাপারে পুলিসের ভূমিকা খতিয়ে দেখে নাগরিক স্বার্থে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে উদ্যোগ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। তাঁদের কাছে পুলিসের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণ আছে, এই দাবি করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা জমা দিয়েছেন ৩১ পাতার একটি চিঠি। মানবাধিকার কমিশনের অফিসারদের সঙ্গে কংগ্রেস প্রতিনিধিদল বৈঠক করে অভিযোগ জানালেও কমিশনের চেয়ারম্যান তথা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তুর সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়নি। কংগ্রেসের অভিযোগ কমিশন খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেই আশ্বাস দিয়েছে।
বৈঠকে পর রাহুল গান্ধী ট্যুইট করে বলেছেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভারতের ভাবনাকে রক্ষা করুক। সংবিধান আমাদের যে অধিকার দিয়েছে তা যেন সুরক্ষিত থাকে। গতকালই ৭১ তম সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করেছে দেশ। আর তার পরের দিনই সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা বিঘ্ন হচ্ছে, এই দাবিতে কংগ্রেস জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।
অন্যদিকে, রাহুল, প্রিয়াঙ্কা যখন মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ, ঠিক তখন ১০ জনপথে দলের স্ট্র্যাটেজি বৈঠক করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। সেখানে সংসদের উভয়কক্ষে দলের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন সোনিয়া গান্ধী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীরঞ্জন চৌধুরি, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ, আহমেদ প্যাটেল, আনন্দ শর্মা, গৌরব গগৈ প্রমুখ।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সংসদের বাইরে যেভাবে প্রতিবাদ চলছে, একইভাবে লোকসভা এবং রাজ্যসভাতেও সরব হবে কংগ্রেস। সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পরেই দেশজুড়ে এনআরসি হবে। অথচ সংসদের বাইরে রাজনৈতিক সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এনআরসি নিয়ে সরকারিভাবে কোনও কথাই হয়নি। তাহলে কেন সংসদে দাঁড়িয়ে দেশকে বিভ্রান্ত করলেন অমিত শাহ? এই মর্মে প্রশ্ন তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চাপ দেওয়া হবে বলে সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।