বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
একদিকে একের পর এক রাজ্য সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কার্যকর করা হবে না, এই মর্মে বিধানসভায় প্রস্তাব অনুমোদন করিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধাচারণ করছে, আর অন্যদিকে রাজ্যের পরিকাঠামো ছাড়াই কী ভাবে এই আইনকে কার্যকর করা যায়, সেই প্রক্রিয়ার সন্ধান খুঁজছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেরল, পাঞ্জাব, রাজস্থানের পর আজ পশ্চিমবঙ্গেও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে খারিজ করার দাবি সম্বলিত প্রস্তাব পাশ হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। এরপর তেলেঙ্গানা। তেলেঙ্গানার মু্খ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও বিধানসভায় সিএসএ খারিজের প্রস্তাব পাশের উদ্যোগ নিয়েই শুধু ক্ষান্ত হননি, তিনি আরও একধাপ এগিয়ে জানিয়েছেন, যে রাজ্যগুলি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করেছে, তাদের সকলকে ডেকে তিনি হায়দরাবাদে একটি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলন করবেন শীঘ্রই। সেখানে মমতা বন্দ্যেোপাধ্যায়-সহ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীদেরও ডাকা হবে। বস্তুত রাজনৈতিক বিরোধিতার পাশাপাশি চন্দ্রশেখর রাও আভাস দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সম্মান বাঁচাতে সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় রাজ্যগুলি বিদ্রোহ করবে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। তারই প্রথম ধাপ হল সর্বদলীয় মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলন। সেই বৈঠকের প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হবে আসন্ন সংসদের বাজেট অধিবেশন চলাকালীন সংসদ ভবনে বিজেপি বিরোধী দলগুলির সমন্বয় বৈঠক আহ্বান করে। বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্ব চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চাইছেন তারপরই ১৫ ফেব্রুয়ারির পর শুরু করে দিতে নাগরিকত্ব আবেদনপত্র গ্রহণ প্রক্রিয়া।