নয়াদিল্লি ও মুম্বই, ২৫ জানুয়ারি (পিটিআই): ভীমা-কোরেগাঁও হিংসা মামলায় নতুন করে তদন্তের তোড়জোড় করছিল মহারাষ্ট্রের জোট সরকার। যদিও শুক্রবার হঠাৎ করেই এই মামলার তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয় কেন্দ্র। যা নিয়ে শনিবার রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে। এই ইস্যুতে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হন রাহুল গান্ধী। তাঁর তোপ, ক্ষমতাসীন বিজেপির বিদ্বেষের এজেন্ডার বিরোধিতা করলেই শহুরে মাওবাদীর তকমা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভীমা-কোরেগাঁও প্রতিরোধের প্রতীক, সরকারের তাবেদার এনআইএ যা কখনওই মুছে দিতে পারবে না। রাহুল গান্ধীর পাশাপাশি এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ার। তাঁর বক্তব্য, মুখোশ খুলে যাওয়ার ভয়েই কেন্দ্র এই মামলা এনআইএ-এর হাতে পাঠিয়েছে। মুম্বইয়ে পাওয়ার বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলাটা মাওবাদ নয়। এদিন এনসিপি প্রধান বলেন, ভীমা-কোরেগাঁও মামলায় মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারের কাছে আমার অনুরোধ, নতুন করে তদন্ত করা হোক। বিরোধী শিবিরের তীব্র সমালোচনার জবাব দিতে এদিন আসরে নামেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহনওয়াজ হোসেন। তাঁর দাবি, ভীমা-কোরেগাঁওয়ের ঘটনা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। এনআইএ তদন্ত করছে। যারা দায়ী ছিল, তাদের শাস্তি হবে। মহারাষ্ট্র সরকারের নতুন করে তদন্তের তোড়জোড় নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন এই বিজেপি নেতা। তাঁর কটাক্ষ, এবিষয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে কথা বলার কে?
মহারাষ্ট্রে পূর্বতন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি ভীমা-কোরেগাঁয়ে হিংসার ঘটনা ঘটে। ঠিক তার আগের দিন সেখানে এলগার পরিষদের সম্মেলন ছিল। সেই সময় পুনে পুলিসের বক্তব্য ছিল, এলগার পরিষদের ওই সম্মেলনে মাওবাদীদের যোগ ছিল। সম্মেলনে উস্কানিমূলক ভাষণের জেরেই পরের দিন অসংখ্য দলিত জমায়েত ও হিংসার ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার জেরে তেলুগু কবি ভারভারা রাও ও সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ সহ বামপন্থী মনোভাবাপন্ন বহু বিশিষ্ট মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যদিও মহারাষ্ট্রের বর্তমান জোট সরকার এইসব বিশিষ্ট মানুষ ও সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার তোড়জোড় করছিল। তারই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার মামলার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত বিরোধী শিবিরের নেতারা।