কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
অযোধ্যায় রামমন্দির সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার আগেই, যোগী আদিত্যনাথ সরকার এই রামমূর্তি নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছিলেন, অযোধ্যায় দেশের সর্বোচ্চ মূর্তি হবে শ্রীরামচন্দ্রের। সরযূ নদীর তীরে এমনভাবে এই মূর্তি স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে, বহু দূর থেকেই অযোধ্যা নগরীর প্রতীক হিসেবে এই মূর্তিকে দেখা যায়। মোট তিনটি ভাগে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাইওয়ের পাশে থাকা জমির জন্য সবথেকে বেশি অধিগ্রহণ-মূল্য ধার্য হয়েছে। হেক্টর পিছু ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। মোট ২৬০টি প্লট চিহ্নিত করে আজ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮০টি প্লটই একটি ধর্মীয় ট্রাস্টের। বাকি প্লটগুলি কৃষকদের। আজ জারি হওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৫ দিন সময় দেওয়া হচ্ছে চিহ্নিত জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আপত্তি উত্থাপনের। ১৫ দিন পর কোনও আপত্তি গ্রাহ্য করা হবে না এবং অধিগ্রহণ পর্ব শুরু হয়ে যাবে।
একদিকে যখন শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তখনই সরকারি সূত্রের খবর, রামমন্দির নির্মাণের জন্য পরিচালন অছি পরিষদ গঠনের প্রক্রিয়াও একপ্রকার শেষ পর্যায়ে। জানা যাচ্ছে, ১২ থেকে ১৫ জনের সদস্য তালিকা তৈরি হবে। ট্রাস্ট সদস্যদের মধ্যে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম থাকবে না। তবে রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রশাসনিক প্রধানদের নাম থাকবে। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীদের নাম থাকতে পারে। গুজরাতের সোমনাথ মন্দির সংস্কারের সময় যে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছিল, সেই প্রক্রিয়াতেই ট্রাস্টের পরিচালন মডেল নেওয়া হবে। ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বারংবার ঘোষণা করেছেন, আগামী চার মাসের মধ্যেই রামমন্দির নির্মাণের কাজ সমাপ্ত হবে। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও তিনি বলছেন, আর তিন মাসের মধ্যেই অযোধ্যা পাবে রামমন্দির। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ করসেবকপুরমে মন্দিরের যে স্থাপত্য পরিকল্পনা নির্মাণ করে রেখেছে, সেই পরিকল্পনা তথা মডেলেই রামমন্দির নির্মাণ করা হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ট্রাস্টই তৈরি করবে মন্দির নির্মাণের বাজেট।