পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব তলব করেছে বিচারপতি রাজীব শকধরের বেঞ্চ। সেই সঙ্গে, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এবং ইউজিসির উদ্দেশেও নোটিস জারি করেছে আদালত। এদিকে, দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশাবলিতে সাময়িক স্বস্তি পেলেন জেএনইউ’র পড়ুয়ারা। দীর্ঘ আন্দোলনে প্রাথমিক জয় এসেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
গত বছর ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হস্টেল কর্তৃপক্ষ। যার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। পাশাপাশি জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ ও আরও কয়েকজন সদস্য এই ইস্যুতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। হলফনামায় তাঁরা জানান, হস্টেল কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে পড়ুয়াদের ভবিষ্যত্ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নয়া বিধিতে ইন্টার হস্টেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইএইচএ)-এ ছাত্র সংসদের প্রতিনিধির সংখ্যা কমানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, আগে একটি ঘরে একা থাকলে ২০ টাকা ও ঘর ভাগ করে থাকলে ১০ টাকা করে দিতে হতো। কিন্তু, নতুন নিয়মে তা বেড়ে হবে ৬০০ টাকা এবং ৩০০ টাকা। হস্টেল কর্তৃপক্ষ ফি বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে সংরক্ষিত ক্যাটিগরির ছাত্রছাত্রীরাও সমস্যায় পড়বেন। তাঁদের অভিযোগ, দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী পড়ুয়াদের জন্য রুমের ফি বাড়িয়ে ৩০০ ও ১৫০ টাকা করা হয়েছে। তাছাড়া, আগে হস্টেলে জিনিসপত্র ব্যবহার করার জন্য (ইউটিলিটি ফি) পড়ুয়াদের কোনও টাকা দিতে হতো না। এমনকী, সার্ভিস চার্জও ছিল না। কিন্তু, নয়া বিধিতে এর জন্য ফি ধার্য করা হয়েছে। দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারের পড়ুয়াদের জন্য ৫০০ টাকা এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১০০ টাকা ফি ধরা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্র সংসদ আদালতকে জানিয়েছে, ফি বৃদ্ধির ফলে পড়ুয়ারা প্রবল সমস্যার মধ্যে পড়বেন। তাই হস্টেল কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা খারিজ করে দেওয়া হোক।