কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ফসল বোনার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের সব রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষিসচিব সঞ্জয় আগরওয়াল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনা করছেন। একইভাবে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ানও মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লিখে মজুতদারি রুখতে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাসোয়ান বলেছেন, ‘পেঁয়াজের পর ভোজ্য তেলের দাম বাড়ছে এটা সত্যি। তবে কোনও রাজ্যে মজুতদারি হচ্ছে কি না, সে ব্যাপারে সব রাজ্যকেই উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছি।’ উল্লেখ্য, দেশের প্রয়োজনে ৬০ শতাংশ ভোজ্য তেলই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তাই ধীরে ধীরে দেশেই তৈলবীজের উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কম করার দিকে এগতে চাইছে সরকার।
মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, রবি মরসুমে এখনও পর্যন্ত ৬৪১.৩৯ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। গতবার এই সময়ে চাষ হয়েছিল ৫৯০.৬৪ লক্ষ হেক্টর। গম, ধান, ডাল চাষের এলাকা ধীরে ধীরে বাড়লেও, তৈলবীজ চাষের এলাকা তেমন বাড়ছে না। আর সেটিই সরকারকে কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে। কৃষিমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে ৭৯.৪৯ লক্ষ হেক্টর এলাকায় তৈলবীজ চাষ হওয়া উচিত। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হয়েছে ৭৯.২৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে তৈলবীজ বোনা হয়েছে।
উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষিবিজ্ঞানী এবং রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র। তৈলবীজের ক্ষেত্রে সর্ষের উৎপাদন বাড়ানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে খরিফে সয়াবিন তেলের উপর নজর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সর্ষে চাষের এলাকা এখনও পর্যন্ত গতবারের চেয়ে কম। তাই আগামীদিনে যাতে সর্ষের তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তারই লক্ষ্যে আগেভাগেই রাজ্যগুলির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে রিভিউ বৈঠক করেছে কেন্দ্র।