কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এছাড়া দেশের বেশ কিছু অর্ন্তদেশীয় বিমানবন্দরের সুরক্ষার ভার এখনও রাজ্য পুলিশের হাতে রয়েছে। ওই বিমানবন্দরগুলিকেও এবার সিআইএসএফের হাতে দেওয়া হবে। তাই সবার আগে শুরু হয়েছে সিআইএসএফের নিয়োগ অভিযান। জম্মু ও কাশ্মীরের বিমানবন্দর ও সরকারি ভবনের সুরক্ষার দায়িত্ব এখনও রয়েছে রাজ্য পুলিশের হাতেই। কিন্তু জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হওয়ায় এখন সরাসরি তা কেন্দ্রীয় শাসনে চলে এসেছে। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনী আরও বেশি করে মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের চাহিদা বাড়ছে। তাই সিআইএসএফ ছাড়াও অন্যান্য কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতেও নিয়োগ অভিযান শুরু হবে। সিআইএসএফে নিয়োগ শুরুর কারণ, এক্ষেত্রে আরও দুটি ব্যাটেলিয়ন বাড়াতে চায় কেন্দ্র।
গতবছর লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছিল, ৯ লক্ষ ৯৯ হাজারের মতো আধাসেনার পদ রয়েছে। আর তার মধ্যে ৮৪ হাজার শূন্যপদ। সেই শূন্যপদ পূরণের প্রক্রিয়া গত বছর শুরু হয়েছিল এসএসসির মাধ্যমে। এরপর টেকনিক্যাল, মেডিকেল অফিসার ও মেডিক্যাল স্টাফ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এবার ২০২০-২১ সালে সাব ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবল নিয়োগের ক্ষেত্রেও বড়সড় নিয়োগ অভিযান হচ্ছে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্র স্থির করেছিল ৭৬ হাজার নিয়োগ হবে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এবার তাই ধীরে ধীরে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে। চলতি অভিযান সমাপ্ত হবে ৩১ মার্চের মধ্যেই। নয়া আর্থিক বছরে আবার শুরু হবে সামগ্রিক নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিশেষ করে বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর বাহিনী বাড়ানো হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই অবসর, মৃত্যু ও স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে প্রায় ১০ শতাংশ করে শূন্য পদের সৃষ্টি হচ্ছে। সেইসব শূন্যপদগুলির পাশাপাশি কিছু নতুন পদেরও সূচনা করা হচ্ছে বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীতে।