রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হওয়ার পর কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক। মন্ত্রক তার আবেদনে আরও জানিয়েছে, মৃত্যুর পরোয়ানা হাতে পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে অপরাধীকে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে হবে। এই মর্মে নির্দেশ দিক শীর্ষ আদালত। এবং এই নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আদালত, রাজ্য সরকার, জেল কর্তৃপক্ষের জন্যও নির্দেশিকা জারি করা হোক। পাশাপাশি কেন্দ্র চাইছে, প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ হওয়ার সাতদিনের মধ্যে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হোক। এবং তার সাতদিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট। এব্যাপারে একই মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের রিভিউ, কিউরেটিভ পিটিশন, প্রাণভিক্ষার আর্জি যেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। সেই আবেদনও জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
এদিকে, ফের পিছিয়ে যেতে পারে নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি। আইনকে ঢাল করেই অভিযুক্তরা সর্বোচ্চ শাস্তিতে দেরি করানোর কৌশল নিয়েছে বলে খবর। এব্যাপারে রীতিমতো ছক কষে এগচ্ছে তারা। তিহার জেল ও বিশেষ সূত্র মারফত এই খবর মিলেছে।
চার অভিযুক্তের মধ্যে দু’জনের কিউরেটিভ পিটিশন ও প্রাণভিক্ষার আবেদন ইতিমধ্যেই খারিজ হয়ে গিয়েছে। পবন গুপ্তা এবং অক্ষয়কুমার সিংয়ের সামনে এখনও আবেদনের সুযোগ রয়েছে। তাদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই ফাঁসির রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এই দুই অভিযুক্ত কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করতে চলেছে। সেই আবেদন খারিজ হলেও অভিযুক্তদের রাতারাতি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া যাবে না। কারণ, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানোর সুযোগ রয়েছে তাদের। সেই আবেদনও খারিজ হলে ফাঁসি কার্যকর করার আগে দোষীদের ১৪ দিন সময় দিতে হয়। ফলে আইনি জটিলতাকে কাজে লাগিয়ে ফের একবার নির্ভয়ার ধর্ষক ও খুনিদের শাস্তি পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আইনি বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে, একই মামলার সমস্ত অভিযুক্তের আইনি বিকল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করা সম্ভব নয়। সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় অনুযায়ী, একসঙ্গেই তাদের ফাঁসি দিতে হবে। এব্যাপারে ১৯৮২ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের উল্লেখ করেছেন আইনি বিশেষজ্ঞরা। উত্তরপ্রদেশ সরকার এবং হরবংশ সিং মামলার রায়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই রায় দিয়েছিল। শীর্ষ আদালত জানায়, একই মামলায় অভিযুক্তদের একই সঙ্গে ফাঁসি দিতে হবে। এই কারণেই নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি পিছিয়ে যেতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।