রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
একদিকে যেখানে আম আদমি পার্টির এক ও একমাত্র স্টার ক্যাম্পেনার মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। অন্যদিকে তাঁকে হারাতে বিজেপির স্টার ক্যাম্পেনার তালিকায় নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, হেমা মালিনী, সানি দেওল, গৌতম গম্ভীর, রাজনাথ সিং, নীতিন গাদকারি, ভোজপুরী তারকা রবি কিষাণ, মনোজ তিওয়ারি। এখানেই শেষ নয়। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও আসছেন প্রচারে। ঠিক এভাবেই কংগ্রেসও ৪০ জন স্টার ক্যাম্পেনারের তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকায় রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, ডঃ মনমোহন সিং, পি চিদম্বরম, পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বস্তুত এরকম অসম লড়াই অন্য কোনও রাজ্যের ক্ষেত্রেই সাম্প্রতিককালে দেখা যায়নি। এই প্রবণতা থেকে স্পষ্ট কংগ্রেস ও বিজেপি রীতিমতো দিল্লিতে অস্তিত্ব সঙ্কটের আতঙ্কে ভুগছে। কারণ, ২০১৫ সালের মতোই এবারও দিল্লির ভোটে কেজরিওয়ালের পক্ষেই ঝড় দেখা যাবে বলে প্রায় প্রতিটি জনমত সমীক্ষায় বলা হয়েছে। আর সেই সমীক্ষা যদি সত্যি হয়, তা হলে গোটা দেশে কংগ্রেস ও বিজেপি শক্তিশালী হলেও রাজধানীতেই যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই, এই বার্তা যাবে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হয়। কিন্তু মাত্র ন’মাসের মধ্যে দিল্লিতে বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০১৯ সালে আরও বেশি গরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে এসেছেন নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এবারও যদি দিল্লি অধরা থাকে, তাহলে তাঁর ফের সম্মান হানি হবে। তাই বিজেপি এবার মরিয়া হয়ে ঝাঁপিয়েছে। আর কংগ্রেস স্থায়ীভাবে দিল্লিতে গুরুত্ব হারাল কি না, সেটাই দেখার। যদিও এবার কংগ্রেস ২০১৫ সালের তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থায়। কিন্তু আম আদমি পার্টির সঙ্গে কোনও জোট হয়নি তাদের। তাই বিজেপি বিরোধী ভোট বিভাজনের সম্ভাবনা। এই সুযোগে বিজেপি চাইছে আসন বাড়িয়ে নিতে।