পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এখনও পর্যন্ত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে ১৪৩টি মামলা জমা পড়েছে। কিন্তু ৮০টিরও বেশি আবেদনের কপি সরকার পায়নি। তাই সেগুলির জবাব দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে নতুন করে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্র জবাব দেওয়ার পর আবেদনকারীরা পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে ফের তাদের বক্তব্য আদালতে জমা করতে পারবে। সেই মতো পাঁচ সপ্তাহ পরে ‘নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন ২০১৯’ মামলার শুনানি হবে বলে বুধবার জানিয়ে দিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবডে, বিচারপতি এস আবদুল নজির এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন মামলায় অসম এবং ত্রিপুরার যেসব ইস্যু রয়েছে, সেগুলিকে পৃথকভাবে শোনার কথাও বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল আদালতে জানিয়েছেন, রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত অসমে এনআরসি কার্যকর হচ্ছে না।
সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল আটকাতে না পেরে সুপ্রিম কোর্টে দলের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে নয়া আইনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কংগ্রেস, সিপিআই, তৃণমূল, আরজেডির মতো বিজেপি বিরোধী দলগুলি। আজ শুনানিতে বিরোধীদের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিবাল, অভিষেক মনু সিংভিদের মতো আইনজীবীরা বলেন, যতদিন মামলা চলছে ততদিন আইন কার্যকর করার প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা হোক। তাছাড়া এই আইনে এখনও কোনও রুল তৈরি হয়নি। তার আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকার ১৯ টি জেলায় কাজ শুরু করে দিয়েছে। এটা কী করে সম্ভব? জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ মানে পরোক্ষে আইনের ওপরই স্থগিতাদেশ। এটা হওয়া উচিত নয়। তাছাড়া সব মামলার কপিও আমাদের কাছে আসেনি। তখনই প্রধান বিচারপতি বলেন, সরকারের লিখিত বক্তব্য না জেনে কী করে নির্দেশ দেওয়া সম্ভব। তাই সরকারকে জবাব দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হল।