পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মহিলা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে এদিন মৌলালিতে প্রকাশ্য সমাবেশে নারীদের অধিকার, মদ নিষিদ্ধকরণ সহ বিভিন্ন সামাজিক বিষয় নিয়ে আলোচনা উঠলেও চলতি নাগরিকত্ব বিতর্কই অগ্রাধিকার পেল। হাওড়ার শরৎসদনে তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন মেধা। তাঁর মতে, মোদি সরকার ভারতবাসীর কাছে যে নথি চাইছে, তা শুধু অনৈতিক নয়, অমানবিকও। দেশের সংবিধান তথা স্বাধীনতা আন্দোলনকারীদের স্মৃতিকে অবমাননার নামান্তর। কেননা, দেশকে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার কথা সংবিধান প্রণেতারা ভাবেননি। মেধার দাবি, দেশকে ধর্মের নিরিখে বিভক্ত করে ভোট ব্যাঙ্ক বানানোই শাসকদলের লক্ষ্য। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে নারী শক্তি গোটা দেশেই সামনের সারিতে এসে দাঁড়িয়েছে। শাসক এই শক্তিকে ভয় পেতে শুরু করেছে। এখন বলা হচ্ছে, তোমার বাবা, মায়ের জন্মতারিখ ও জন্মস্থান জানাতে হবে। মেধার প্রশ্ন, তাহলে কয়েকমাস আগে যখন ভোট চাইতে প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন, তখন ভোটারদের কাছে তাঁদের বাবা-মায়ের বিষয়ে জানতে চাননি কেন। ৩১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়ে ক্ষমতায় বসেছেন। এখন আইনের দোহাই দিয়ে ৯০ শতাংশ মানুষের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন মোদি।
কেন্দ্রের শাসকদল বলছে, অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে সিএএ আইন এনেছি। মেধার পাল্টা জিজ্ঞাসা, দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিতে বেসরকারি লগ্নির অনুপ্রবেশ নিয়ে মোদিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো না কেন? একদিকে আদিবাসীদের জল-জমি-জঙ্গলের অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে কর্পোরেট পুঁজির কাছে বেচে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বিএসএনএল, রেলের মতো সংস্থায় পুঁজির অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে। নোটবন্দি থেকে মোদির বিভিন্ন সিদ্ধান্ত মহিলাদের উপরেও প্রভাব ফেলেছে। বহু শ্রমজীবী মহিলা নোটবন্দির ফলে কাজ হারিয়েছেন। সিএএ বিতর্কের মধ্যেই সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে এনপিআর চালুর উদ্যোগ শুরু হতেই নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। আগামী এপ্রিল থেকে নভেম্বরের মধ্যে এনপিআর শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সব রাজ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে। বাংলায় তার প্রশিক্ষণ শুরু হলেও মুখ্যমন্ত্রী এনপিআর নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এদিন একই সুরে মেধাও এনপিআরের বিরোধিতা শুধু নয়, এই বিষয়ে অসহযোগ করার আবেদন জানিয়েছেন। এনপিআর ফর্ম পূরণ করব না। তিনি মহিলা জমায়েতের উদ্দেশে এই শপথ নিতে বলেন। সঙ্গে বলেন, এনপিআরের সময় কাগজ দেখতে চাইলে, তা দেখাবেন না। মোদি নিজের বিয়ের সার্টিফিকেট দেখাতে পারবেন না। তাহলে সাধারণ মানুষও কাগজ দেখাবে না। সমাজকর্মী মেধা পাটেকর। নিজস্ব চিত্র