গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ভারতের বৃদ্ধির হার ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৬.১ শতাংশ থাকবে বলে আগে জানিয়েছিল আইএমএফ। কিন্তু তিন মাসের মধ্যেই সেই হার ৪.৮ শতাংশে নামিয়ে দিয়েছে তারা। সংস্থার সাম্প্রতিক পূর্বাভাস বলছে বিশ্বের বৃদ্ধির হার ২০১৯ সালে ২.৯ শতাংশ হবে। ২০২০ সালে তা সামান্য বেড়ে ৩.৩ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদের মতে অবশ্য, ভারতে সবথেকে সঙ্কটে রয়েছে নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল সেক্টর। গ্রামীণ আয়ের ক্ষেত্রেও বৃদ্ধি অত্যন্ত কম। এর জন্য সরকারি সিদ্ধান্তও কম দায়ী নয়। সিএএ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও সামাজিক অসন্তোষ শর পথে বাধা বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে শুধু ভারত নয়, আর্জেন্টিনা, ইরান, তুরস্ক, ব্রাজিল, মেক্সিকোর মতো দেশের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গীতা।
অন্যদিকে, ভারতের মন্দার পরিস্থিতির মধ্যেও ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। গত সপ্তাহে তিনদিনের ভারত সফরে এসেছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দেখা করা তো দূর, উল্টে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তাঁর দাবি ছিল, ওঁরা ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছেন। কিন্তু তারপর প্রতিবছর ১০০ কোটি ডলার লোকসানও করছেন। তাই এই বিনিয়োগে ওরা ভারতের খুব একটা উপকার করছে না। যা নিয়ে গতকাল এক প্রশ্নের উত্তরে সরব হয়েছেন গীতা। মোদি সরকারের এই মনোভাবের সরাসরি বিরোধিতা না করলেও তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন। দেশের স্বার্থে বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়াটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। এদেশে ভোগ্যপণ্যের বাজার দুর্বল। তাই আমার মনে হয়, বৃহত্তর বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার দরকার।’ এদিকে, আমাজন কর্তা ভারতে আসার আগেই অনলাইন বিপণন সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সরকার। সরকারের যুক্তি, ই-কমার্সের রমরমার ফলে দেশীয় ছোট ব্যবসায়ীরা মার খাচ্ছেন।
এদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এই মন্তব্য করার জন্য গীতা গোপীনাথকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের তোপের মুখে পড়তে হতে পারে বলে কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। জামিনে মুক্ত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ট্যুইটারে জানিয়েছেন, ‘আমার ধারণা, এবার আইএমএফ এবং ডঃ গীতা গোপীনাথকে আক্রমণ শুরু করবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। এর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’