পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠলে পুরসভাগুলির মুখ্য কার্যনির্বাহী অফিসার ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাদের কর্মদক্ষতা সংক্রান্ত বার্ষিক গোপন রিপোর্টে তা উল্লেখ করারও নির্দেশ দিয়েছে এনজিটি। আগামী এক মাসের মধ্যে পরিবেশ সংক্রান্ত বিশেষ মনিটরিং সেল তৈরির পাশাপাশি তিন মাসে একবার কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে রাজ্যকে বৈঠক করতে হবে।
এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের দূষণ নিয়ন্ত্রণ মামলায় আগামী ৪ সেপ্টেম্বর পর্যালোচনা বৈঠকে ফের রাজ্যের মুখ্যসচিবকে সশরীরে হাজির থাকতে হতে পারে বলেও জানিয়ে দিয়েছে এনজিটি। এই নির্দেশিকায় পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশবিদ সুভাষ দত্তর মন্তব্য, রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে এনজিটি। এতদিন পরিবেশ দূষণ ইস্যুটি রাজ্যের কাছে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে ছিল। এবার আশাকরি সরকারের আবশ্যিক কাজের তালিকাভুক্ত হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো পরিবেশ দূষণ নিয়ে গ্রিন ট্রাইব্যুনাল উদ্যোগ বাড়িয়েছে। সব রাজ্যের কাছেই তাদের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণের পারফরম্যান্স জানতে চাওয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মামলা চলছে। হচ্ছে রিভিউ মিটিংও। পশ্চিমবঙ্গ আগের চেয়ে উদ্যোগ বাড়িয়েছে ঠিকই। তবে তা আশানুরূপ নয়। তাই তীব্র সমালোচনায় বিঁধেছে ট্রাইবুনাল। ৩৭ পাতার নির্দেশিকায় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল স্পষ্ট জানিয়েছে, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট রুল, ২০১৬ ঠিক মতো কার্যকর হয়নি। তাই আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে তা কার্যকর না করলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
বিচারপতি আদর্শকুমার গোয়েল, বিচারবিভাগীয় সদস্য এসপি ওয়াঙ্গড়ি, বিশেষজ্ঞ সদস্য নাগিন নন্দা এবং সিদ্ধান্ত দাসকে নিয়ে গঠিত প্রধান বেঞ্চ তার নির্দেশে জানিয়েছে, যেসব পুরসভা এলাকার জনসংখ্যা ১০ লক্ষের বেশি, দূষণ নিয়ন্ত্রণে গাফিলতি হলে তাদের প্রতি মাসে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একইভাবে যেসব এলাকার জনসংখ্যা ৫ থেকে ১০ লক্ষের মধ্যে, তাদের ক্ষেত্রে এই ক্ষতিপূরণের পরিমাণ মাসে পাঁচ লক্ষ টাকা। বাকিগুলির ক্ষেত্রে প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এনজিটির নির্দেশ, কোনও পুরসভা ওই টাকা দিতে অপারগ হলে রাজ্য সরকারকে তা মেটাতে হবে। আদালতের গাইডলাইন মতো যতদিন পর্যন্ত না সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে, ততদিন এই টাকা গুনতে হবে।