মুম্বই, ২১ জানুয়ারি (পিটিআই): সাঁইবাবার জন্ম শিরডিতে, একথা কেউ বলেন না। ফলে তাঁর জন্মস্থান নিয়ে এই বিতর্ক অযৌক্তিক। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারেকেও এব্যাপারে দায়ী করা উচিত নয়। মঙ্গলবার দলীয় মুখপত্র ‘সামনা’য় এমনই দাবি করল রাজ্যের শাসকদল শিবসেনা। শুধু তাই নয়, এই বিতর্ক সাঁইবাবার মাহাত্ম্য ক্ষুণ্ণ করছে বলেও মুখপত্রের সম্পাদকীয় কলামে লেখা হয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে সাঁইবাবার জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত পাথরিকে ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে। তার জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দেরও ঘোষণা করেন তিনি। এই নিয়েই বিতর্ক। যার জেরে রবিবার বন্ধ পালিত হয়েছে শিরডিতে। যদিও রাতে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সোমবার শিরডির কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে বৈঠকে মন্তব্য প্রত্যাহার করে বিতর্কের সমাধান করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে। তবে পাথরির বাসিন্দারা এতে মোটেই খুশি হননি। আগামীকাল, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, জন্মস্থান বিতর্কের অবসানে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার সিদ্ধান্ত নিক সরকার।
‘সামনা’য় বলা হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রী কোনও বিতর্ক তৈরি করেননি। পাথরি এবং শিরডির বাসিন্দাদেরও তা তৈরি করা উচিত নয়। এতে সাঁইবাবার মাহাত্ম্যকে ছোট করা হয়।’ শিবসেনার দাবি, কয়েকজন ঐতিহাসিকের মত অনুযায়ীই উদ্ধব পাথরিকে ১৯ শতকের এই ধর্মগুরুর জন্মস্থান বলে উল্লেখ করেছিলেন। পরভনির সরকারি গেজেটে সেই সম্ভাবনার কথা লেখা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কোনও লিখিত বিবৃতি বা সরকারি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেননি। তাই তাঁকে এই বিতর্কের জন্য দায়ী করা উচিত নয়। শিরডি সাঁইবাবা সংস্থান ট্রাস্টের অধীনে ২ হাজার ৬০০ কোটিরও বেশি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। কেউ শিরডির থেকে এই সম্পত্তি কেড়ে নিতে পারবে না বলেও দাবি করা হয়েছে ‘সামনা’য়।