কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বেই আর্থিক বৈষম্য অত্যন্ত প্রকট। অক্সফ্যামের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের ৪৬০ কোটি বা ৬০ শতাংশ মানুষের কাছে যে পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, তার থেকেও বেশি সম্পদ রয়েছে ২ হাজার ১৫৩ জন ধনকুবেরের কাছে। অক্সফ্যামের ভারত শাখার সিইও অমিতাভ বেহর বলেন, ‘বৈষম্য দূরীকরণে সেই নীতি থাকা প্রয়োজন, যেখানে ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান কমানো যায়। এবং খুব কম সরকারই সেই নীতির প্রতি দায়বদ্ধ।’ আর্থিক বৈষ্যম্যের সঙ্গে আয়ের নিরিখে লিঙ্গবৈষম্যের দিকটিও ফুটে উঠেছে অক্সফ্যামের এই রিপোর্টে। সেখানে বলা হয়েছে, একজন মহিলা ২২ হাজার ২৭৭ বছরে যা আয় করবেন, তা মাত্র এক বছরেই রোজগার করেন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত একজন সিইও। একজন পরিচারিকা এক বছরে যে আয় করেন, সেই টাকা ওই সিইওর রোজগার করতে সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট। এছাড়া, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘরের কাজ করে মহিলাদের কোনও আয় হয় না। রিপোর্টে আরও উঠে এসেছে, প্রতিদিন বিশ্বব্যাপী মহিলারা ৩২৬ কোটি ঘণ্টার এমন কাজ করেন, যার বদলে তাঁদের কোনও আয় হচ্ছে না। অর্থের বিচারে ভারতে যার পরিমাণ ফি বছর ১৯ লক্ষ কোটি টাকা। যা কি না ২০১৯ সালে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাজেট ৯৩ হাজার কোটি টাকার কুড়ি গুণ। এছাড়া গোটা আফ্রিকার মহিলাদের সম্মিলিত ধনসম্পদের থেকে বেশি সম্পত্তি রয়েছে বিশ্বের মাত্র ২২ জন ধনকুবেরের কাছে।