কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আজ প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাকর্মীদের বলেছেন, মানুষের সঙ্গে সংযোগ বাড়ান। দলকে জনপ্রিয় করার একমাত্র মাধ্যম হল মানুষের সঙ্গে সংযোগ। আজ প্রধানমন্ত্রী বিজেপির নব নিযুক্ত সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডাকে অভিনন্দিত করতে দলের সদর দপ্তরে এসে নেতাকর্মীদের বলেন, আমার বিশ্বাস নতুন সভাপতির নেতৃত্বে অধরা সাফল্য এবার অর্জন করা যাবে। আজই বিজেপির নতুন সভাপতি হিসেবে জগৎ প্রকাশ নাড্ডা দায়িত্ব নিয়েছেন। ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহ ছিলেন বিজেপির সভাপতি। এবং অমিত শাহের সভাপতিত্বে বিজেপি সাফল্যের শিখর স্পর্শ করেছে বলা হলে অতিশয়োক্তি হবে না। কারণ, একটা সময় বিজেপি জোট ২২টি রাজ্যে সরকারে আরোহণ করেছিল। ২০১৯ সালে এই প্রথমবার বিজেপি এককভাবে ৩০০ আসন পেরিয়ে গিয়েছে। বিজেপির প্রভাব দেশে সর্বাধিক বলা যায় রাজনৈতিকভাবে। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর দলের রীতি অনুযায়ী তাঁকে সভাপতির পদ ছাড়তে হয়েছে। কারণ বিজেপির সাংগঠনিক নিয়ম হল এক ব্যক্তি দুই পদে থাকতে পারবেন না। যদিও নতুন সভাপতি সম্পূর্ণভাবে মোদি ও অমিত শাহের অনুগামী হিসেবেই বিবেচিত।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বলা যায় তিনি অনেক বেশি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অত্যন্ত অনুগত। বস্তুত তিনি সরাসরি আরএসএস থেকেই এসেছেন সংসদীয় রাজনীতির জাতীয় অঙ্গনে। সুতরাং নাড্ডা সভাপতি হওয়ায় বিজেপির রাশ আরও বেশি করে আর এস এসের হাতে চলে এল বলাই যায়। সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া নাড্ডার সামনে অবশ্যই একের পর এক অগ্নিপরীক্ষা। আগামী মাসেই দিল্লির বিধানসভা ভোট। এরপর বিহার। আগামী বছর অসম, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ুতে নির্বাচন। অমিত শাহ যখন বিজেপি সভাপতি হয়েছেন তখন বিজেপির উত্থানের স্বর্ণ মুহূর্ত। সবেমাত্র মোদি ক্ষমতায় বসেছেন প্রথমবার। বিজেপি তখন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। আর জগৎপ্রকাশ নাড্ডা যখন সভাপতির আসনে বসলেন, তখন কিন্তু বিজেপি একের পর এক রাজ্যে পরাজিত হয়েই চলেছে। অর্থাৎ বিজেপির উত্তুঙ্গ জনপ্রিয়তা থেকে ক্রমেই অবতরণ ঘটছে এখন। এমতাবস্থায় নাড্ডাকে সাফল্যের গ্রাফ ধরে রাখতে হবে। যা রীতিমতো চ্যালেঞ্জ। ঠিক ১৯ দিন পর দিল্লির ভোট! নাড্ডার প্রথম রিপোর্ট কার্ড শিয়রেই।