পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আগামী বুধবার সুপ্রিম কোর্টে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দেশের প্রধান বিচারপতির এজলাসে একগুচ্ছ মামলার শুনানি। এখনও পর্যন্ত সিএএ নিয়ে ৭৪টি মামলা তালিকাভূক্ত হয়েছে। যেখানে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সওয়ালও করবেন কপিল সিবাল। তবে তার আগে তাঁরই এমন উল্টো সুর কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলে। তাই দলের পক্ষ থেকে আজ ফের নতুন করে সিবালকে দিয়েই সিএন নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করানো হল। কেরলের সভায় তিনি কী বলেছিলেন, তার ভিডিও আপলোড করে বিষয়টি দেখতে বললেন স্বয়ং সিবাল।
দলীয় সূত্রে খবর, কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশেই কপিল সিবাল আজ ফের ট্যুইট করে অবস্থান স্পষ্ট করলেন। বললেন, মিথ্যে প্রচার বন্ধ করুন। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে তিনি অসংবিধানিক বলেই বার বার উল্লেখ করেছেন। তিনি স্পষ্টই বোঝান, আইনজ্ঞ হিসেবে তিনি আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে রাজ্যগুলির বাধ্যবাধকতার কথা বললেও, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে তাঁর অবস্থানের সঙ্গে দলের কোনও পার্থক্য নেই। কপিল সিবাল বললেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে বিধানসভাগুলি যে প্রস্তাব পাশ করেছে, তা বৈধ। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবি করে বিধানসভাগুলির প্রস্তাব পাশ করার অধিকার রয়েছে বলেও সওয়াল করেন সিবাল।
যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, যতই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার চেষ্টা হোক, শাসক দল বিজেপি তথা সিএএ’র পক্ষে থাকা জনগণ সিবালের ‘আইন পালনে রাজ্যগুলি বাধ্য’ অংশটুকুই বড় করে তুলে ধরবে। আর সেটি টের পেয়েই গতকাল কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি যেমন বার বার সিবালের কথার ভুল ব্যাখা হচ্ছে বলে সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, আজ একইভাবে কপিল সিবাল নিজেও বার বার সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে অসাংবিধানিক বলে নিজের অবস্থান বোঝাতে চেয়েছেন। সঙ্গে এও জানিয়েছেন, এর বিরুদ্ধে লড়াইও জারি থাকবে।