কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গত বছর বিভিন্ন সূত্র থেকে গোয়েন্দারা জানতে পারেন ভারত থেকে পাকিস্তানে আইএসআই এজেন্টদের কাছে তথ্য ও ছবি পাচার করছে বারাণসীর কোনও ব্যক্তি। তারপর থেকে এই চক্রের হদিশ পেতে শুরু হয় নজরদারি। প্রাথমিক তদন্তের পর এটিএস ও সেনার গোয়েন্দারা বারাণসীর চান্দৌলির বাসিন্দা রশিদকে চিহ্নিত করেন। ২০১৯ সালের মার্চ মাস থেকে সে আইএসআইকে ছবি ও তথ্য পাচার করছে বলে তাঁরা জানতে পারেন। পুলিস ও গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর রশিদ চান্দৌলিতে তার দাদুর বাড়িতে থাকতে শুরু করে। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা জানা রশিদ প্রথমে দর্জি ও পরে বারাণসীতে একটি ওষুধের দোকানে কাজ করত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে সাইনবোর্ড লাগানোর কাজে নিয়োজিত হয়। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, করাচিতে রশিদের আত্মীয় রয়েছে। ২০১৭ সালে ওই আত্মীয়দের কারও বিয়েতে যোগ দিতে করাচি যায় রশিদ। করাচির কাছে ওরাঙ্গিতে থাকার সময় সে তার মামতো বোনের প্রেমে পড়ে যায়। সেই প্রেমের টানে পরের বছর ফের সে করাচি যায়। তখনই এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আইএসআই এবং পাক সেনার যোগাযোগ হয় তার। ওই এজেন্টরা ভারত থেকে তথ্য পাচারের বিনিময়ে রশিদকে তার মামাতো বোনের সঙ্গে বিয়ে ও টাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই টোপে রাজি হয়ে ভারতে ফিরে আসে রশিদ। ওই এজেন্টরা তাকে ভারতের বিভিন্ন স্থানের ছবি পাঠাতে বলে। সেই মতো বায়ুসেনা নিয়োগের ক্যাম্পের পাশাপাশি কাশী বিশ্বনাথ মন্দির, দশাশ্বমেধ ঘাট, সঙ্কটমোচন মন্দির, জ্ঞানবাপী মসজিদ, ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন, আগ্রা ফোর্ট, নৈনি সেতু, প্রয়াগরাজের অর্ধ কুম্ভ মেলা, গোরক্ষপুর রেলস্টেশন, রেণুকূট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, চান্দৌলি ও আমেথির সিআরপিএফ ক্যাম্প, ইন্ডিয়া গেট, আজমির শরিফ এবং নাগপুর রেলস্টেশন সহ একাধিক স্থানের ছবি তুলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আইএসআইকে পাঠিয়েছে রশিদ। এছাড়াও বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ-এনআরসি আন্দোলনের ভিডিও সে আইএসআই এজেন্টদের পাঠিয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। এই সব কাজের জন্য গত বছর উপহার হিসেবে পাকিস্তানের পতাকার রঙের টি-শার্ট পেয়েছিল রশিদ। অসীম ও আমেদ নামে দুই আইএসআই এজেন্টের নির্দেশমতো চলত রশিদ। গত বছরের জুলাই মাসে তাকে পাঁচ হাজার টাকা দেয় আইএসআই। যোধপুরে সেনাঘাঁটির উপর নজর রাখতে ওই এলাকায় একটি দোকান কিনতে বলা হয় রশিদকে। সেইমতো মাসে এক লক্ষ টাকা ও বাড়ি ভাড়া বাবদ ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় আইএসআইয়ের এজেন্টরা। তবে ওই টাকা রশিদ পেয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। তাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে।