শ্রীনগর, ২০ জানুয়ারি (পিটিআই): উপত্যকার বোতলবন্দি দশা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক-চর্চার অন্ত নেই। তারই মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছনোর কর্মসূচি নিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজের ‘ইতিবাচক প্রভাব’ ও সরকারের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপগুলি আম আদমির কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে। আর তা করার জন্য ৩৬ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মধ্যে সাকুল্যে পাঁচজনকে পাঠানো হচ্ছে কাশ্মীরে। শুধু তাই নয়, সেনা ঘেরাটোপে থাকা দক্ষিণ কাশ্মীরের চার জেলা পুলওয়ামা, সোপিয়ান, অনন্তনাগ ও কুলগাঁওয়ে পা ফেলবেন না এই পাঁচ মন্ত্রীর কেউই। মন্ত্রীদের সফরসূচিতে নেই বদগাঁও, কুপওয়ারা ও বান্দিপোরা জেলাও। সরকারি কর্তারা জানাচ্ছেন, জম্মু ডিভিশনে ৫০টিরও বেশি বৈঠকের নির্ঘণ্ট তৈরি হয়েছে। যদিও এই চার দিনে কাশ্মীরে এরকম বৈঠক হবে মাত্র আটটি।
সরকারি সূত্রে খবর, আগামী চার দিন জম্মু ও কাশ্মীর সফর করবেন পাঁচ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই তালিকায় রয়েছেন টেলিকমমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ, মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল, সংখ্যালঘু উন্নয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। উপত্যকার মন পেতে মঙ্গলবার সফর শুরু করছেন নাকভি। শ্রীনগরের উপকণ্ঠে দারা এলাকায় তিনি একটি হাইস্কুলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। পাশাপাশি শ্রীনগর শহরের হারওয়ান এলাকার সারবান্দে জল সংরক্ষণ প্রকল্পেরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি। বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে রেড্ডির দু’দিনের সফর। গান্ধেরবাল জেলায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার বারামুলায় দু’দিনের সফর শুরু হচ্ছে রবিশঙ্কর প্রসাদের। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে থাকবেন শ্রীপদ নায়েক। শুক্রবার পোখরিয়াল।