কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে নাড্ডার নির্বাচনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামীকাল দিল্লিতে আসছে বঙ্গ বিজেপির টিম। যে প্রতিনিধি দলে থাকছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা দলের অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা সহ অন্য নেতারা। থাকবেন দলের এমপি এমএলএরাও। এর আগে একাধিকবার জাতীয় কার্যকরী সভাপতি হিসেবে রাজ্যে গিয়ে বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন নাড্ডা। বিধানসভা নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে অমিত শাহের স্থির করে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কীভাবে এগচ্ছেন বাংলার নেতারা, খোঁজ নিয়েছেন সেই ব্যাপারেও। এবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর এবিষয়ে তিনি আরও জোর দিতে চাইছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বিজেপি সূত্রের খবর, সর্বভারতীয় সভাপতি পদে নির্বাচনের পর কালই বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে দলের বঙ্গ নেতৃত্বের সঙ্গে একপ্রস্থ কথা বলতে পারেন নাড্ডা। এ ব্যাপারে রাহুল সিনহা বলেছেন, ‘বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য আমরা কাল দিল্লিতে থাকছি। নতুন সভাপতিকে আমরা বরণ করে নেব। একইসঙ্গে তাঁর থেকে বাংলার আগামী বিধানসভা নির্বাচনের কৌশলও জানতে চাইব।’ এর আগে রাজ্যে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা দলের বর্তমান সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্বকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে অন্তত ২০০টি আসন জয়ের ‘টার্গেট’ দিয়ে এসেছিলেন। মনে করা হচ্ছে, সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বঙ্গ নেতৃত্ব কতটা অগ্রসর হতে পেরেছে, তা নিয়ে খোঁজখবর করতে পারেন নাড্ডা। দিতে পারেন অন্য কোনও দিকনির্দেশও।
বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচির পরেই দলের ৭৫ শতাংশ বুথ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া চালু করেছিল গেরুয়া শিবির। তা মেটার পর ৫০ শতাংশ মণ্ডল কমিটি গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তারপর হাত দেওয়া হয়েছে ৬০ শতাংশ জেলা কমিটি নির্বাচনের কাজে। তা মিটে যাওয়ার পর ২১টি রাজ্যে দলের প্রদেশ সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বিজেপি। এবং তারপরই শুরু হয়েছে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া। বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ইস্যুতে আগামীকাল, সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সর্বভারতীয় সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলবে। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চলবে মনোনয়নপত্র খতিয়ে দেখার কাজ। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে আগামীকাল বেলা দেড়টা থেকে বেলা আড়াইটে পর্যন্ত। যদি সর্বভারতীয় সভাপতি পদে একাধিক মনোনয়ন জমা পড়ে, তাহলে আগামী ২১ জানুয়ারি নির্বাচন হবে। যদিও বিজেপির শীর্ষ সূত্রে জানানো হয়েছে, সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে কালই বেলা আড়াইটের পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে জে পি নাড্ডার নাম ঘোষণা করে দেওয়া হতে পারে।