শিরডি, ১৯ জানুয়ারি (পিটিআই): খোলা রইল সাঁইবাবা মন্দির। ভক্তরা ভিড়ও জমালেন। কিন্তু শিরডির রাস্তাঘাটে দেখা গেল সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। সাঁইবাবার জন্মস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারের মন্তব্যের প্রতিবাদে স্বতঃস্ফূর্ত বন্ধ পালন করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শনিবার মধ্যরাত থেকে বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। তার জেরে রবিবার সকাল থেকে শিরডি শহরে কোনও দোকানপাট খোলেনি। বন্ধ ছিল রেস্তরাঁ, অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান এবং স্থানীয় পরিবহণ। অন্য দোকান বন্ধ থাকায় সাঁইবাবা মন্দিরের প্রসাদালয়, জলখাবারের জায়গা এভং লাড্ডু বিক্রয় কেন্দ্রে ভক্তদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। শিরডি সংলগ্ন ২৫টি গ্রামেও বন্ধ পালিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্দিরের প্রাক্তন ট্রাস্টি তথা স্থানীয় বিজেপি কর্মকর্তা শচীন তাম্বে পাতিল। উদ্ধবের দলেও বিষয়টি নিয়ে বিভাজন দেখা দিয়েছে। এদিন বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছেন শিরডির শিবসেনা সাংসদ সদাশিব লোখন্ডে। তিনি বলেন, ‘আমি আগে সাঁইবাবার ভক্ত, পরে সাংসদ। আমি এই প্রতিবাদকে সমর্থন জানাচ্ছি। সাঁইবাবা ১৬ বছর বয়সে শিরডিতে এসেছিলেন। নিজের জাত-ধর্মের কথা কাউকে কখনও জানাননি। তাই তাঁর বিভাজন করা উচিত নয়। বিষয়টি নিয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।’ তবে তাঁর উপর ভরসা রেখে বন্ধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানান তিনি। বিতর্ক ধামাচাপা দিতে উদ্যোগী হয়েছেন উদ্ধব থ্যাকারেও। সমাধান সূত্র খুঁজতে আগামীকাল, সোমবার মুম্বইতে রাজ্য সচিবালয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চলতি সপ্তাহেই এক অনুষ্ঠানে পরভনি জেলায় সাঁইবাবার জন্মস্থান পাথরির উন্নয়নের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে প্রথমে মন্দির বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেও ভক্তদের কথা ভেবে পিছিয়ে এসেছে সাঁইবাবা সংস্থান ট্রাস্ট। স্থানীয় বাসিন্দারাই স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে বন্ধের ডাক দেন। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাতিলও বন্ধকে সমর্থন জানিয়েছেন।