কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে বারবারই কেন্দ্রীয় সরকার কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নিচ্ছে না বলে দাবি করেন সীতারামন। বিরোধীদের গত ৬ বছরের নাগরিকত্ব দেওয়ার পরিসংখ্যান পেশের পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘২০১৪ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা ৫৬৬ জনেরও বেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রায় ১৫৯৫ পাকিস্তানি উদ্বাস্তু এবং ৩৯১ জন আফগান মুসলিমকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে মোদি সরকার। এই সময়েই ২০১৬ সালে পাক গায়ক আদনান সামিকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এটা একটা উদাহরণ। তসলিমা নাসরিনকেও এদেশে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটাই প্রমাণ করে যে আমাদের বিরুদ্ধে তোলা যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা।’ পূর্ব পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা থেকে আসা মানুষরা যে ক্যাম্পে থাকেন, তার দুরাবস্থার কথাও তুলে ধরেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আদনান সামির পাসপোর্ট পুনর্নবীকরণ করেনি পাকিস্তান। সেই কারণে ভারতে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তাঁর আর্জি মেনে নেয়। খুনের হুমকির জন্য দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া তসলিমা নাসরিনও ২০০৪ সাল থেকে রেসিডেন্ট পারমিটে নয়াদিল্লিতে থাকছেন।
এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে শ্রোতাদের প্রশ্নেরও জবাব দেন সীতারামন। কেরল বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একটি রাজ্যের বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাশ হয়েছে। আমরা বুঝতে পেরেছি যে এটি একটি রাজনৈতিক মতামত। কিন্তু আইন চালু করবেন না বলা আইনবিরোধী, অসাংবিধানিক।’ গতকাল কংগ্রেস নেতা তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবালের মুখেও একই সুর শোনা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর তামিলনাড়ু সফর ঘিরে এদিন শুরু থেকেই উত্তেজনা ছিল। চেন্নাই বিমানবন্দরে তাঁর নামার কয়েক মিনিট আগে এনপিআরবিরোধী স্লোগান দেওয়ায় এক ব্যক্তিকে আটক করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এক আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন তিনি। সীতারামন আসছেন জানতে পেরেই ওই ব্যক্তি এনপিআর বাতিলের স্লোগান তোলেন। যদিও বিজেপির ‘জন জাগরণ অভিযানে’ যাওয়ার মুখে আর কোনও বিক্ষোভের সামনে পড়তে হয়নি অর্থমন্ত্রীকে। সিএএ সংক্রান্ত একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে সীতারামন। রবিবার চেন্নাইয়ে। ছবি: পিটিআই