বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের এক অস্থি বিশেষজ্ঞ ডাঃ সুশ্রুত বাবুলকরের আচমকাই নজর পরে বাঘটির উপর। সেই সময়ও সাহেবরাওয়ের বাঁপায়ের যন্ত্রণা কমেনি। তখন ডাক্তারবাবু ওই পায়ের থাবা বদল করার বিষয়ে বনদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। কিন্তু তিনি পশু চিকিৎসক নন, তাই তাঁর পক্ষে এই অপারেশন করা সম্ভব ছিল না। তাই এবিষয়ে সহযোগিতা নেওয়া হয় মহারাষ্ট্র অ্যানিম্যাল অ্যান্ড ফিশারিজ সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (এমএএফএসইউ)। সেখানকার পশু চিকিৎসক শিরীষ উপাধ্যায় এবং ডাঃ সুশ্রুত বাবুলকর একযোগে বাঘটিকে বাঁচানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন। ডাঃ সুশ্রুত বলেন, আগেও বাঘটির একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেই সময় পায়ের একটি অংশ কেটে বাদ দেওয়া হয়। এরপরেই কৃত্রিম থাবাযুক্ত নতুন পা লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু যন্ত্রণা না কমায়, সেই অস্ত্রোপচার করা যাচ্ছিল না। এরপরে এদিন একসঙ্গে দু’টি অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। সেই মতো সকালেই সাহেবরাওয়ের অস্ত্রোপচার শুরু হয়। ডাঃ সুশ্রুত বাবুলকর জানিয়েছেন, যে অংশটির (একটি শিরা) জন্য সাহেবরাওয়ের ব্যথা হচ্ছিল, সেই অংশটি এদিন সফলভাবে অস্ত্রোপচার করে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরে কৃত্রিম পা লাগানোর অস্ত্রোপচার করতে দিচ্ছিল না সাহেবরাও। বারবার কৃত্রিম পা ফেলে দিচ্ছিল। এরপরেই এদিন দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার স্থগিত করে দেন চিকিৎসকরা।
ডাঃ সুশ্রুত বলেন, ব্যথা কমে বাঘটি একেবারে সুস্থ রয়েছে। তবে সম্ভবত একইদিনে দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার নেওয়ার মতো ইচ্ছা তার ছিল না। তাই বারবার কৃত্রিম পা সরিয়ে দিচ্ছিল। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পরবর্তী সময়ে বাঘের স্বাস্থ্য দেখে কৃত্রিম পা লাগানোর অস্ত্রোপচার করা হবে।