কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সেলুলার জেল থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে সাভারকর ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিলেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সাভারকরকে ভারতরত্ন দেওয়ার পক্ষেই রয়েছে শিবসেনা। যদিও শরিক কংগ্রেস এর বিরোধিতা করে চলেছে। রাউতের মন্তব্য সামনে আসার পর শনিবার শচীন সাওয়ান্তের ট্যুইট, আম্বেদকরকে ধর্মান্ধ বলে মন্তব্য করেছিলেন সাভারকর। বৌদ্ধদের দেশবিরোধী বলেছিলেন তিনি। ছত্রপতি শিবাজির ভালো কাজগুলিরও সমালোচনা করেছিলেন সাভারকর। বিজেপি যদি চায়, কেন্দ্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার সুবাদে এইসব মন্তব্য উপেক্ষা করে সাভারকরকে ভারতরত্ন দিতে পারে। ১৯১১ সালের আগে সাভারকর অন্যরকম ছিলেন। কংগ্রেস তাঁর ১৯২৩ সাল পরবর্তী মতাদর্শের বিরোধী। সাওয়ান্তের আরও দাবি, পূর্বতন করদ রাজ্য ত্রিবাঙ্কোরের ভারতভুক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন সাভারকর। মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের এই মুখপাত্রের আরও বক্তব্য, ১৯০৯ থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত ১৪৯ জনকে কালাপানিতে (আন্দামানের সেলুলার জেলে) পাঠানো হয়েছিল। ১৯২২ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত ৩০ জনকে ও ১৯৩২ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত ৩৮৬ জনকে সেখানে পাঠানো হয়েছিল। যোগেশ শুক্লার মতো বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী সেলুলার জেলের সাজা কাটিয়ে পরে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেন। এর পরই সাভারকরকে বিঁধে সাওয়ান্ত বলেন, এইসব স্বাধীনতা সংগ্রামীরা গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে সাজা ভোগ করেছেন। ব্রিটিশদের কাছে ক্ষমাভিক্ষা করেননি তাঁরা। এরকম স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ভারতরত্ন দেওয়া উচিত।