বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সেদিনের পরিস্থিতি সম্পর্কে শিল্পী আরও বলেন, ‘আমি পরে সঙ্গীতের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করে জেনেছি যে, কোনও প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল না। আর মঞ্চের পাশ থেকে আধিকারিকদের বলতেও শুনেছি, কাওয়ালি এখানে চলবে না।’ লখনউ মঞ্জরী চতুর্বেদীর নিজের শহর। এখানকার ইসলামিক সংস্কৃতির ব্যাপক সমাদর রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশের সুফি ইসলামিক সঙ্গীত হিসেবে কাওয়ালির খ্যাতি জগৎজোড়া। সেই লখনউতে কাওয়ালি এভাবে থামানোর বিষয়টি মানতে পারছেন না কত্থক শিল্পী।
উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি দপ্তর অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অনুষ্ঠান চলাকালীন আবহাওয়া খারাপ ছিল। মুখ্যমন্ত্রীরও আসার কথা ছিল। সেই কারণেই আমরা প্রত্যেক শিল্পীকে দু’টি করে নৃত্যগীত পরিবেশনের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। মঞ্জরী চতুর্বেদী যা বলছেন তা সত্যি নয়। ওঁর কাওয়ালি শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী অনুষ্ঠানের জন্যই তাঁকে থামানো হয়। কারণ হাতে সময় ছিল না। ওঁর অভিযোগ ভিত্তিহীন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের আমলে অ-হিন্দু সংস্কৃতির উপর সরকারি কোপ নামার অভিযোগ আগেও উঠেছে। গোমাংস বন্ধের জেরে লখনউয়ের বিখ্যাত তুন্ডে কাবাবের দোকান পর্যন্ত বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল। শুক্রবারের এই ঘটনায় এই বিতর্কে নতুন করে ইন্ধন জোগাল বলেই মনে করছে বিরোধীরা।