পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হতে রাশিয়ার থেকে বিপুল অর্থের সমরাস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করেছে ভারত। কিন্তু টাকা মেটানোর ক্ষেত্রে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এপ্রসঙ্গে ডেপুটি চিফ অব মিশন জানান, এর সমাধান পাওয়া গিয়েছে। আগামী কয়েক বছরে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা খাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হতে চলেছে। উল্লেখ্য, এস-৪০০ জন্য ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার দিতে হবে ভারতকে। গত বছরই নয়াদিল্লি প্রথম কিস্তির ৮০ কোটি মার্কিন ডলার মিটিয়ে দিয়েছে। এছাড়া, যৌথভাবে ভারতে কালাশনিকভ রাইফেল তৈরি করছে রাশিয়া। চলতি বছরে ভারতীয় সেনার হাতে উন্নত ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৫ হাজার কালাশনিকভ তুলে দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন রোমান বাবুসকিন।
শত্রু দেশের যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র বহণকারী ড্রোন মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এস-৪০০ প্রযুক্তির। এটি প্রায় ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে দ্রুততার সঙ্গে আঘাত হানতে সক্ষম। ভারতীয় সেনায় এই প্রযুক্তি যুক্ত হলে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আরও শক্তিশালী হবে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের। তাই, আমেরিকার চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই এস-৪০০ কেনার ব্যাপারে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় ভারত।
এদিকে, চিতা ও চেতক হেলিকপ্টারের আয়ু ফুরিয়ে এসেছে। তাই এর বিকল্প হিসেবে ২২০টি কামোভ কা-২২৬টি হেলিকপ্টার কিনতে চলেছে ভারত। এব্যাপারে, ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে দু’দেশ একপ্রস্থ চুক্তি করে। ঠিক হয়, ভারতের হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড (হ্যাল) এবং রাশিয়ার দু’টি সংস্থা যৌথভাবে কামোভ তৈরি করবে। এব্যাপারে বাবুসকিন বলেন, ৬০টি হেলিকপ্টার রাশিয়ার এবং বাকি ১৪০টি ভারতেই তৈরি হবে।
অন্যদিকে, কাশ্মীর ইস্যুতে নাক গলাতে নারাজ রাশিয়া। তাদের মতে, কাশ্মীর সমস্যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এব্যাপারে অন্য কারও নাক না গলানোই ভালো। এপ্রসঙ্গে ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাশেভ বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের অবস্থান নিয়ে আমাদের কোনও ধোঁয়াশা নেই। এটি সম্পূর্ণভাবে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর নিয়ে সরব হয়েছিল চীন। যদিও, তাতে বিশেষ কেউ আমল দেয়নি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার বক্তব্য তাত্পর্যপূর্ণ বলে মত অভিজ্ঞ মহলের।
অপরদিকে, সামনের মাসে লখনউতে বসতে চলেছে ডিফেন্স এক্সপো। সেখানে রাশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বের ৫০ জনের একটি প্রতিনিধি দল হাজির থাকবে। শুক্রবার একথা জানিয়েছেন বাবুসকিন। ওই সময় দুই দেশের মধ্যে আরও কিছু সামরিক চুক্তি হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।