উচ্চবিদ্যায় ভালো ফল হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে সুযোগ আসবে। কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। ব্যবসায় যুক্ত ... বিশদ
নয়াদিল্লি, ১৭ জানুয়ারি: ‘আসামিরা যা চাইছে তাই হচ্ছে। তারিখের পর তারিখ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কোনও অধিকার নেই।’ বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্ভয়ার মা। তখনও ফাঁসির নতুন তারিখ ঘোষণা হয়নি। সকালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ আসামি মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করেছেন। কিন্তু ফাঁসির দিন নিয়ে ধোঁয়াশা জারি ছিল। শুক্রবার তা নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন নির্ভয়ার মা। চোখে জল নিয়েই বললেন, ‘আমাদের আইন ব্যবস্থা এমন, যেখানে আসামিদের কথা শোনা হয়।’ গতকালই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে দেরি নিয়ে একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে বিজেপি-আম আদমি পার্টি (আপ)। শুক্রবার সে ব্যাপারেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। অভিযোগ করেছেন, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের ঘটনা গোটা দুনিয়াকে নড়িয়ে দিয়েছিল। আজ সেই মামলা রাজনৈতিক ফায়দা লোটার খেলায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির তোলা অভিযোগ এদিন উড়িয়ে দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নির্ভয়ার মাকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ তাঁর।
এতদিন ধরে নির্ভয়ার মায়ের যাবতীয় অভিযোগ ছিল বিচার ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। কখনও সখনও সরকারের কাছেও সুবিচারের আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরাসরি রাজনীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি তাঁর গলায়। গতকাল বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর অভিযোগ করেছেন, নির্ভয়া কাণ্ডের চার আসামির ফাঁসি কার্যকরের ক্ষেত্রে দেরির জন্য দায়ী আপ সরকার। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাদের আর্জি খারিজের সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নোটিস দেওয়া উচিত ছিল কেজরিওয়ালের। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিশোদিয়া সেই অভিযোগ খণ্ডন করে জানান, দিল্লির পুলিস, তিহার জেল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। এদিন তা নিয়েই তোপ দাগেন নির্ভয়ার মা। বলেন, ‘আজ আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, ২০১২ সালে যারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিল, আজ তারাই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে আমার মেয়ের মৃত্যু নিয়ে খেলা করছে।’ ভবিষ্যতে রাজনীতিতে নামার সম্ভাবনাও খারিজ করেছেন তিনি। নির্যাতিতার মায়ের এই বক্তব্য প্রকাশের পরেই ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে আসরে নামেন কেজরিওয়াল। সাফ জানান, ‘ফাঁসির ক্ষেত্রে দিল্লি সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। সরকারের অধীনে যা করা দরকার ছিল, তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা এই মামলায় কোনও দেরি করিনি। আমরা চাই অবিলম্বে ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।’
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হবে নির্ভয়ার চার ধর্ষকের। এদিন নতুন দিন ঘোষণা করেছে আদালত। আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে আইনি প্রক্রিয়াকে দেরি করাচ্ছে বলে আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবীরা।
এতদিন ধরে নির্ভয়ার মায়ের যাবতীয় অভিযোগ ছিল বিচার ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। কখনও সখনও সরকারের কাছেও সুবিচারের আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু সরাসরি রাজনীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য শোনা যায়নি তাঁর গলায়। গতকাল বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর অভিযোগ করেছেন, নির্ভয়া কাণ্ডের চার আসামির ফাঁসি কার্যকরের ক্ষেত্রে দেরির জন্য দায়ী আপ সরকার। ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট তাদের আর্জি খারিজের সঙ্গে সঙ্গেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নোটিস দেওয়া উচিত ছিল কেজরিওয়ালের। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিশোদিয়া সেই অভিযোগ খণ্ডন করে জানান, দিল্লির পুলিস, তিহার জেল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে। এদিন তা নিয়েই তোপ দাগেন নির্ভয়ার মা। বলেন, ‘আজ আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, ২০১২ সালে যারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছিল, আজ তারাই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে আমার মেয়ের মৃত্যু নিয়ে খেলা করছে।’ ভবিষ্যতে রাজনীতিতে নামার সম্ভাবনাও খারিজ করেছেন তিনি। নির্যাতিতার মায়ের এই বক্তব্য প্রকাশের পরেই ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে আসরে নামেন কেজরিওয়াল। সাফ জানান, ‘ফাঁসির ক্ষেত্রে দিল্লি সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। সরকারের অধীনে যা করা দরকার ছিল, তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা এই মামলায় কোনও দেরি করিনি। আমরা চাই অবিলম্বে ধর্ষকদের ফাঁসিতে ঝোলানো হোক।’
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হবে নির্ভয়ার চার ধর্ষকের। এদিন নতুন দিন ঘোষণা করেছে আদালত। আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে আইনি প্রক্রিয়াকে দেরি করাচ্ছে বলে আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবীরা।
