পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্টের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার পরিকল্পনা করেছে, বকেয়া ইপিএফ মেটানোর দায় সম্পূর্ণভাবে ঠিকাদারদের উপর চাপিয়ে দিতে পারবে না সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী সংস্থা। বরং এক্ষেত্রে দায় নিতে হবে তাদেরও। এই পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকেরা মনে করছেন, অনেক সময়ই শ্রমিক-কর্মচারীরা বকেয়া ইপিএফ সংক্রান্ত একগুচ্ছ অভিযোগ করছেন কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক কার্যালয়ে। ভুয়ো অভিযোগ হয়তো একটিও হচ্ছে না। এবং সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুততার সঙ্গে সেই নিয়োগকারী সংস্থাকে ইপিএফের বকেয়া অর্থ মেটানোর নোটিস পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু বহু সময়ই দেখা যায়, যুক্তিপূর্ণ কোনও কারণের জন্যই নির্ধারিত সময়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া অর্থ মেটাতে পারেনি ওই সংস্থা। সেক্ষেত্রে নিয়োগকারী সংস্থার যুক্তিগ্রাহ্য কারণ খতিয়ে দেখে সাময়িক ছাড় দিলে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের পালাও কিছুটা কমানো যায়। জানাচ্ছে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠনের সূত্র।
জানা যাচ্ছে, কয়েকদিন আগেই চেন্নাইয়ের এক আদালতে এই সংক্রান্ত একটি মামলা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এক্ষেত্রে সংস্থা-কর্তৃপক্ষেরও ‘রিপ্রেজেন্টেশন’এর নির্দেশ দিয়েছে। এবং তারপরেই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রকের আওতায় থাকা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন। এমনিতেই ইপিএফ মেটানোর ব্যাপারে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে ইপিএফও। অর্গানাইজেশনের তৎকালীন সেন্ট্রাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার ভি পি জয় এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়ে জানিয়েছিলেন, বকেয়া পিএফ না মেটালে অভিযুক্ত সংস্থাগুলির নাম ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি নিয়োগকারী সংস্থাগুলি কোনও ঠিকাদারকে কাজে লাগালে তার সবিস্তার তথ্যও ইপিএফওকে জানানোর প্রক্রিয়া শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কোনও সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম ২০ জন কর্মী থাকলেই সেগুলি ইপিএফওর আওতায় চলে আসে। মাসিক সর্বোচ্চ বেতন ১৫ হাজার টাকা হলে বাধ্যতামূলকভাবে ইপিএফের গ্রাহক হন কর্মীরা। বেতন বেড়ে গেলে ইপিএফ পরিষেবা নেওয়ার বিষয়টি ঐচ্ছিক হয়ে যায়। এই মুহূর্তে সারা দেশে ইপিএফ গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছ’কোটি।