বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বেশ কিছু দিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরে দুটি বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছিল পুলিস। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, আন্তর্জাতিক জঙ্গির তকমা পাওয়া মাসুদ আজহারের জঙ্গি সংগঠন জয়েশের বেশ কয়েকজন জঙ্গি উপত্যকায় ঘাঁটি গেড়েছে। এরপর প্রযুক্তিগত ও গোয়েন্দাদের তথ্যের উপর ভিত্তি করে তল্লাশি শুরু করে পুলিস। হদিশ মেলে জয়েশ জঙ্গিদের গোপন আস্তানার। গ্রেপ্তার করা হয় আইজাজ ও উমরকে। তারা পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন জয়েশের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। জেরায় হাববাক ক্রসিং ও কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যর সৈয়দ গেটের সামনে বিস্ফোরণে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে তারা। এই দুই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং গোয়েন্দাদের সূত্র মারফত আরও তিনজনের খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর বাকি তিনজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর একটি বাড়ি থেকে বিপুল বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিস।
পুলিস জানিয়েছে, সামনেই সাধারণতন্ত্র দিবস। তার আগে উপত্যকায় বড় কোনও আইইডি বা আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল ধৃতরা। পুলিসের অনুমান, বিশেষ রাজ্যের তকমা প্রত্যাহার করার পর জম্মু ও কাশ্মীরে ধীরে ধীরে শান্তি ফিরছে। তাই, সেই শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাতেই হামলার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। তবে, কোথায় এই নাশকতা চালানোর ছক কষা হচ্ছিল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। ধৃতদের টানা জেরা করে সেবিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
জঙ্গিদের গোপন ডেরা থেকে বিস্ফোরক তৈরির বিপুল সরঞ্জাম, অত্যাধুনিক অস্ত্রসস্ত্র, ওয়াকিটকি, বোম্বার্স জ্যাকেট, জিলেটিন স্টিক বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বড়সড় নাশকতার লক্ষ্যেই এগুলি একত্রিত করা হয়েছিল বলে একপ্রকার নিশ্চিত পুলিস। ফলে, দুশ্চিন্তা অনেকটাই বেড়েছে প্রশাসনের। তাই, উপত্যকায় আর কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে কি না বা হামলার কোনও চক্রান্ত করছে কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
এদিকে, প্রায় পাঁচমাস আটক থাকার পর আরও পাঁচ রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দিল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন। এঁদের মধ্যে দু’জন পিডিপি নেতা এবং তিনজন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রাক্তন নেতা রয়েছেন। যদিও, রাজ্যের প্রাক্তন তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহেবুবা মুফতির মুক্তির ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি।