বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিচ্ছুপালি ওড়িশার একটি ছোট্ট গ্রাম। ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুযায়ী গ্রামের লোকসংখ্যা মাত্র ১৫ জন। সেই গ্রামকে কেন্দ্র করে এতবড় একটা স্টেশনের পরিকাঠামো গড়া নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে। তবে ইস্ট-কোস্ট রেলওয়ে ডিভিশনের আশা, খুড়দা -বোলঙ্গির রেল লাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বিচ্ছুপালি স্টেশনের গুরুত্ব বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে যাত্রী সংখ্যাও। ডিভিশনাল কমার্সিয়াল ম্যানেজার (সম্বলপুর) সম্বিত নায়েক বুধবার বলেছেন, ‘খুড়দা-বালানগির রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বিচ্ছুপালি স্টেশনের ব্যস্ততা বাড়বে। শুধু তাই নয়, সম্বলপুর ও তিতলাগড় স্টেশনের মধ্যে ডবল লাইন পাতার পরিকল্পনা রয়েছে। তখন বোলঙ্গিরের সঙ্গে সম্বলপুরের রেল যোগাযোগ আরও সহজ হবে। সেক্ষেত্রেও বিচ্ছুপালি-বোলঙ্গির লাইনে যাত্রী সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’ সেই সঙ্গে রেলের আয় বৃদ্ধির আশাও দেখতে পাচ্ছেন রেলের কর্তারা।
মূলত, সেই আশাতেই বছর খানেক আগে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এসে বিচ্ছুপালি স্টেশনের উদ্বোধন করায় রেলমন্ত্রক। গত এক বছরে স্টেশনে যাত্রী সংখ্যার তথ্য জানতে চেয়ে রেলমন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছিলেন হেমন্ত পণ্ডা নামে এক ব্যক্তি। স্টেশন থেকে যাত্রীভাড়া বাবাদ আয়ের তথ্যও জানতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ইস্ট-কোস্ট রেলওয়ে ডিভিশনের তরফে এ সংক্রান্ত কোনও তথ্য সরবরাহ করা হয়নি বলে অভিযোগ। ডিভিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বিচ্ছুপালি ও বালানগিরের মধ্যে দিনে দু’টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করে। একটি ছাড়ে সকাল সাড়ে ছ’টায়। দ্বিতীয়টি ছাড়ে দুপুর দেড়টা নাগাদ। বিচ্ছুপালি স্টেশনে এই দু’টি ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা মাত্র দুই। মাথাপিছু ভাড়া ১০ টাকা হলে স্টেশন থেকে রেলের আয় হয় মাত্র ২০ টাকা। রেলমন্ত্রকের তথ্য বলছে, বিচ্ছুপালি-বোলঙ্গিরের মধ্যে রেল যোগাযোগ প্রকল্প শেষ করতে সরকারের খরচ হয়েছিল ১১৫ কোটি টাকা। বিচ্ছুপালি স্টেশনের পরিকাঠামো তৈরি করাও ওই প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল।