কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নোটবন্দির সমর্থনে প্রধানমন্ত্রীর দাবি ছিল, এই সিদ্ধান্তের ফলে জঙ্গি সংগঠনগুলির আর্থিক মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। তিন বছর আগে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে তিনি বলেছিলেন, জঙ্গিরা কীভাবে টাকা পায় তা কখনও ভেবে দেখেছেন? সীমান্ত পারের শত্রুরা জাল নোটের মাধ্যমেই তাদের কাজকর্ম চালায়। নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে ‘দেশের শুদ্ধিকরণের আন্দোলন’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মোদি। তিন বছর পর দেখা যাক, নোটবন্দির ফলে কতটা ‘শুদ্ধিকরণ’ হল দেশীয় অর্থনীতির। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো তাদের সর্বশেষ অ্যানুয়াল রিপোর্ট ‘ক্রাইম ইন ইন্ডিয়া’য় বলেছে, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দেশজুড়ে মোট ৪৬.০৬ কোটি টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে ৫৬.৩১ শতাংশই ২ হাজার টাকার নোটে উদ্ধার হয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০১৭ সালে যে পরিমাণে জাল ২ হাজার টাকার নোট উদ্ধার হয়েছিল, ২০১৮ সালে তা আরও বেড়েছে। ২০১৭ সালে উদ্ধার হওয়া জাল টাকার ৫৩.৩০ শতাংশ ছিল ২ হাজার টাকার নোটে। আর ২০১৮ সালে এই পরিমাণটা ছিল ৬১.০১ শতাংশ।
এনসিআরবির রিপোর্টে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতা সামনে আসছে। জাল ২ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধারের অধিকাংশ ঘটনা হাতে গোনা কিছু রাজ্যে সীমাবদ্ধ। এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে গুজরাত। ২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত গুজরাত থেকে ৩৪ হাজার ৬৮০টি জাল ২ হাজারের নোট উদ্ধার হয়। যার সম্মিলিত পরিমাণ ৬.৯৩ কোটি টাকা। এরপর রয়েছে যথাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ (৩.৫ কোটি), তামিলনাড়ু (২.৮ কোটি) ও উত্তরপ্রদেশ (২.৬ কোটি)। এই রাজ্যগুলি থেকে সবচেয়ে বেশি উদ্ধারের ঘটনা ঘটলেও সামগ্রিকভাবে জাল নোটের কারবার ছড়িয়ে রয়েছে দেশের অধিকাংশ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে। তবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড, মেঘালয়, সিকিম, আন্দামান ও নিকোবর, চণ্ডীগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি, দমন ও দিউ, লাক্ষাদ্বীপ, পুদুচেরি থেকে একটিও জাল ২ হাজারের নোট উদ্ধার হয়নি।